শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৩২ অপরাহ্ন
জুলফিকার আমীন সোহেল, বিশেষ প্রতিনিধি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বলেশ^র নদের হোতাখাল ঘাট এলাকায় নিষিদ্ধ বেহুন্দী জালের খেও (মাছ ধরার স্থান) বসাতে বাঁধা দেয়ায় সাধারণ জেলেদের ওপর হামালা চালিয়েছে আড়ৎদার জাহাঙ্গীর হোসেন ও তার বাহিনী। বুধ ও বৃহস্পতিবার তিনদফা এ হামলার ঘটনায় দুই নারীসহ অন্তঃত ১৪ জন আহত হয়েছে। উপজেলার তুষখালী ইউনিয়নের জানখালীর ভাইজোড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মাসুম হাওলাদার বাদি হয়ে জাহাঙ্গীর হোসেনকে প্রধান আসামী করে ৯ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ১২ জনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মাসুম হাওলাদার (৪৫) ওই গ্রামের আঃ সোবাহান হাওলাদারের ছেলে।
আহতরা হলেন- আঃ সোবাহান হাওলাদার (৬৫), মঞ্জু বেগম (৪০), মাসুম হাওলাদার (৪৫) জসিম হাওলাদার (২০), ইব্রাহীম শাহ (২৫), এমাদুল হাওলাদার (৩৫), লিটন খান (২৫), সোহেল খান (২২), আরিফ শাহ (২০), নাঈম মুন্সি (১৭), আবু বকর খান (১৭), ঈসা খান (১৬), মামুন খান (২২) ও লাবুনী আক্তার (১৭)। আহত ৯ জন কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও বাকি ৫ জনকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আরও ৮/১০ জন ক্ষুদ্র আহত হয়েছেন বলে মাসুম হাওলাদার দাবী করেছেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাসুম হাওলাদারসহ স্থানীয় সাধারণ জেলেরা বলেশ^র নদের হোতাখাল ঘাট এলাকায় ভাসমান সান্দি জাল পেতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। গত বেশ কয়েক বছর ধরে একই গ্রামের মৃত. চাঁন মিয়া হাওলাদারের ছেলে জাহাঙ্গীর মাঝ নদীতে নিষিদ্ধ বেহুন্দী জালের খেও বসিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করে আসছে। এতে বহু বছর ধরে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। মাসুম হাওলাদার ও তার পিতা ওয়ার্ড আ‘লীগ নেতা সোবাহান হাওলাদার ওই নিষিদ্ধ বেহুন্দী জালের খেও বসাতে বাঁধা দেয়ায় জাহাঙ্গীর ও তার বাহীনি চড়াও হয়। তারই ধারাবাহিকতায় জাহাঙ্গীর হোসেন ও তার বাহিনী বুধবার সকাল ১০ টার দিয়ে সোবাহান হাওলাদারের বাড়িতে এসে হামলা চালায়। যা থেমে থেমে বেলা ১ টা পর্যন্ত চলে। এর পর ২ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়। বৃস্টির মতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ফলে পরিস্থিতি শান্ত করতে পাশ-পাশের লোক ঘটনাস্থলে আসতে পারেনি। পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভার্ত করা হয় ও রাতে মামলা করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে পুণঃরায় হামলা চালানো হয়। যা সকাল ৭ টা থেকে থেমে-থেমে সকাল ৯ টা পর্যন্ত চলে। সংবাদ পেয়ে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে হামলা কারিরা আত্মগোপনে যায়। বেলা দেড়টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মাসুদুজ্জামান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।