মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুরে জেলায় নতুন করে আরও তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের করোনা পরীক্ষাগার থেকে পিরোজপুরের সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এ নিয়ে জেলায় ৩৪ জনের করোনাভাইরাসে সংক্রমণ শনাক্ত হলো। সম্প্রতি জেলায় করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত শনিবার থেকে এ পর্যন্ত আট দিনে ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এর মধ্যে দিয়ে জেলার সাতটি উপজেলাতেই ছড়াল করোনার সংক্রমণ।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের করোনা পরীক্ষাগার থেকে পিরোজপুরের সিভিল সার্জনের কাছে তিনজনের করোনা পজিটিভ প্রতিবেদন পাঠায়। আক্রান্তদের মধ্যে নাজিরপুর উপজেলার এক নারী (৩০) রয়েছেন। তিনি সম্প্রতি ঢাকা থেকে নাজিরপুর উপজেলার বাড়িতে যান। গত বুধবার তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নাজিরপুর উপজেলায় এই প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলো।
অন্য আক্রান্ত ব্যক্তিরা হলেন, পিরোজপুর সদর উপজেলার এক বৃদ্ধ (৬৩) ও নেছারাবাদ উপজেলার এক তরুণী (২০)। সদর উপজেলায় আক্রান্ত ব্যক্তি ঢাকা থেকে এবং নেছারাবাদ উপজেলার ওই নারী ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থেকে সম্প্রতি বাড়িতে যান। গত বৃহস্পতিবার তাঁদের দুজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। শনিবার রাতেই আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে রাতে আক্রান্ত তিনজনের বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে।
পিরোজপুরের সিভিল সার্জন মো. হাসনাত ইউসুফ জাকী বলেন, আক্রান্তদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে। তবে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁদের হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হবে।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত জেলায় করোনা পরীক্ষার জন্য ৭০১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ৫৪৩টি নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্য পিরোজপুর সদর উপজেলায় ১৩ জন, ভান্ডারিয়া উপজেলায় ৯ জন, মঠবাড়িয়া উপজেলায় পাঁচজন, ইন্দুরকানি উপজেলায় তিনজন, নেছারাবাদ উপজেলায় দুজন, কাউখালী উপজেলায় একজন ও নাজিরপুর উপজেলায় একজন রয়েছেন। এর মধ্যে পিরোজপুর সদর উপজেলায় ১ জন, ভান্ডারিয়া উপজেলায় ৪ জন ও মঠবাড়িয়া উপজেলা ১ জন সুস্থ হয়েছেন।