মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
১১ মে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বাবুলচরা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত শিশু আভিয়া খাতুন ওই গ্রামের আনসারুল-মিলি দম্পতির মেয়ে। আসামি সাদিয়া একই গ্রামের সোহানের স্ত্রী।
ঈশ্বরদী থানার ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করে সাদিয়া বলেছেন- টিভিতে ক্রাইম পেট্রল দেখেই হত্যার পদ্ধতি শিখেছেন তিনি।
জবানবন্দিতে সাদিয়া জানান, ১১ মে বিকেলে আভিয়াকে একটি কলা খেতে দেন তার মা মিলি খাতুন। ওই সময় সাদিয়া শিশুটিকে কোলে নিয়ে বাবা আনসারুলের মুরগির খামারে যান। সেখানে শিশুটির গলায় কলা আটকে যায়। তখন গলা টিপে কলা বের করতে গিয়ে মারা যায় আভিয়া। পরে মরদেহ গুম করতে মুরগির খামারের বিষ্ঠার ডোবার মধ্যে লুকিয়ে রাখেন তিনি। এরপর হত্যাকাণ্ড চাপা দিতে শিশুটির বাড়ি গিয়ে অভিনয় করতে থাকেন সাদিয়া।
ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, শারীরিক ত্রুটির কারণে সাদিয়ার সন্তান হচ্ছিল না। তার স্বামী সোহানেরও সমস্যা ছিল। অনেক চিকিৎসা করিয়েও কোনো ফলাফল না পাওয়ায় সাদিয়া বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এ কারণে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে বর্বরোচিত ঘটনা ঘটান। হত্যাকাণ্ড ও মরদেহ গুমের পদ্ধতি ভারতীয় টিভি চ্যানেলে ক্রাইম পেট্রল সিরিজ দেখে শিখেছেন বলে স্বীকার করেছেন সাদিয়া। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র ডেইলি বাংলাদেশ