শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৩২ অপরাহ্ন
মোঃ জিয়াদুল হক,কাউখালি প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের কাউখালীতে টর্নেডোর আঘাতে ধ্বংস্তপে পরিণত হয়েছে শতাধিক বাড়িঘর। এ সব গ্রামের ঘরবাড়ি ও গাছপালাসহ বিদুৎ সঞ্চলন লাইন ভেঙ্গে গেছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া টর্নেডোর আঘাতে ১৫টি গ্রামের বসতঘরসহ গাছপালা উড়ে গেছে। রাতেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর পরিদর্শন করেন এবং রাস্তার উপর পড়ে থাকা গাছপালা অপসারন করে চলাচলের উপযোগী করে তোলে। এসময় উপজেলার সোনাকুর গ্রামের মৃত্ত শিল্পের ঘর সহ ১৫/২০ টি ঘর লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এধের মধ্যে রয়েছে, মিলন পাল, যুগল পাল, সংকর পাল, রাখাল পাল, মিজবুর শেখ, জুয়েল শেখ, আঃ মজিদ হাওলাদার, হেমায়েত মিনা, রণজিৎ মাঝি, জয়দেব পাল, শ্যামল পাল, সঞ্চিব পাল এদের ঘর ধংশস্তুপে পরিনত হয়। তাছাড়াও সোনাকুর খেয়াঘাট সংলগ্ন পালপাড়া দূর্গা মন্দির, কালি মন্দির, শীতলা মন্দির ও গংঙ্গা মন্দির ভেঙ্গে মুছরে যায়।
উপজেলার জাতীয় মৎসজীবী সমিতির সভাপতি ওয়াদুদ হাওলাদার বলেন, আমার ও এলাকার জেলেদের নৌকা সহ মাছ ধরার জাল টর্নেডোর আঘাতে ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে যায়। এতে আয় বানিজ্য করে খাবার মতো উপার্যনের কোন জিনিসই নেই। সংসার চলার মতো অবস্থায় আমরা নেই।
ক্ষতিগ্রস্থ শংকর পাল বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ আকাশে মেঘ জমে বাতাস শুরু হয়। চোখের পলকে আমার বসত ঘর উড়ে যায়। আমরা তখন ঘরের মধ্যে অবস্থান করছিলাম। ঘর উড়ে যাওয়ার পর ছেলে মেয়েদের নিয়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেই। ঝড় থেমে যাওয়ার পর এলাকার লোকজন এসে আমাদের ঘরের আসবাবপত্র ও থালাবাটি কুড়িয়ে দিয়েছে। ঘরের মধ্যে থাকা পরিবারের লোকজন সকলে অল্পের জন্য প্রানে রক্ষা পেলেও মাথা গোজার ঠাইটুকু হারিয়েছি।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা খালেদা খাতুন রেখা জানান, ঝড়ে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নেই কম বেশি ক্ষতি হয়েছে। রাতেই সড়কের উপর পরে থাকা গাছ ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় অপসরণ করে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। খুব দ্রুতই ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে ঘর মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।