শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:২১ অপরাহ্ন
জুলফিকার আমীন সোহেল,বিশেষ প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার চরকখালী গ্রামের সমাজ সেবক নূরুল হক খানের ৪ একর সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করে নেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে আপন ভাই নূরুল ইসলাম ও চাচা কথিত রাজাকার চাচা আজিজ খান। এর প্রতিকার চেয়ে নূরুল হক স্থানীয় চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য, আইন-আদালতের দ্বারস্থ হয়েও কোন সুরহা পাচ্ছে না। উল্টো চাচা আজিজ খান ও ভাই নূরুল ইসলাম প্রতিনিয়ত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শণসহ একাধিক চেইন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার বেতমোর ইউনিয়নের চরকখালী গ্রামের মৃত. হাজী আঃ রশিদ খানের ছেলে স্থানীয় হক বাজারের প্রতিষ্ঠাতা নূরুল হক তার ক্রয় সূত্রে ৪ একর সম্পত্তি দীর্ঘ দিন ধরে ভোগদখল করে আসছে। নূরুল হকের চাচা স্বাধীনতা বিরোধী কথিত রাজাকার আজিজ খান ও ভাই নূরুল ইসলাম সন্ত্রাসী দিয়ে জোর পূর্বক ওই সম্পত্তি দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাছাড়া অজিজ খান ও নূরুল ইসলাম সমাজ সেবক নূরুল হক খানের বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে।
এ হয়রানির প্রতিকার চেয়ে নূরুল হক স্থানীয় চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য, আইন-আদালতের দ্বারস্থ হলে তারা বিভিন্ন সময় শালিস বৈঠকে মিমাংসা ও রোয়দাত করে দেয়। সেগুলো হলো- সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বাদশা ১৩-০৩-১৩, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান ১৮-০২-১৫, ০২-১১-১৮, ২৯-০৮-১৮, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ ০৪-০৯-১৯, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন আকন ২৯-০৯-১৯, ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ১৫-১১-১৯ ইং তারিখ মিমাংসা করে দেন কিন্তু নূরুল ইসলাম ও আজিজ খান কোন সিদ্ধান্ত মানেনি। অবশেষে নূরুল হক গত ১১-১২-১৯ ইং তারিখ সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজির নিকট আজিজ খান ও নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে সাংসদ বিষয়টি মঠবাড়িয়া থানার ওসিকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। মঠবাড়িয়া থানার ওসি স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এসএম ফেরদৌস রুম্মানকে সালিশ প্রধান নিযুক্ত করে মিমাংসার নির্দেশ দেন। এসএম ফেরদৌস রুম্মান উভয় গ্রুপের ৩ জন করে মোট ৬ জন শালিসদারের সমন্বয় গত ২৪-০৪-২০২০ ইং তারিখ রোয়দাত দেন। সে অনুয়ায়ী নূরুল হক গত ১২-০৫-২০২০ ইং তারিখ সকালে ওই জমিতে গেলে নূরুল ইসলাম ও আজিজ খান প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে সরেজমিনে পুলিশ নিয়ে নূরুল হককে জমি থেকে উঠে যেতে বলে ও ১৫-০৫-২০২০ তারিখ মিমাংসা করে দিবে বলে জানান। পুলিশের এমন আশ^াসে নূরুল হক জমি থেকে উঠে যায়। কিন্ত ১৪-০৫-২০২০ তারিখ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করে ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এব্যপারে নূরুল হক গত ১৫-০৫-২০২০ ইং তারিখ মঠবাড়িয়া থানায় সাধারণ ডায়রী করেন।
নূরুল হক প্রশ্ন রেখে আরও জানান, অদৃশ্য শক্তির দাপটে নূরুল ইসলাম ও আজিজ খান কোন শালিস-বৈঠক, আইন-আদালতের তোয়াক্কা না করে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ওই সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে ও একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। অপর দিকে নিজেদের অপরাধ ঢাকার জন্য মিথ্যা ও উদ্দেশ্য মূলক সংবাদ প্রকাশ করিয়ে বিভ্রান্তির সৃস্টি করছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর সঠিক বিচার প্রার্থনা করছি।
এ ব্যপারে জানার জন্য অভিযুক্ত আঃ আজিজ খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তার ফোন টি বন্ধ পাওয়া যায়।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মাসুদুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। জমি সংক্রান্ত বিরোধটি মিমাংসার চেষ্টা করছি।