শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১৭ অপরাহ্ন
বগুড়ায় এক গৃহবধূরকে (৩২) তালাক নামায় স্বাক্ষর নিতে না পেরে মারপিট ও নির্যাতনের পর মাথার চুল কেটে দিয়েছে শাশুড়ি ও ননদ। শনিবার রাতভর নির্যাতনের পর রবিবারে ভোরে গৃহবধূ পালিয়ে এসে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হন।
জানা যায়, প্রায় ১ যুগ আগে বগুড়া সদর উপজেলার উত্তর লাহিড়িপাড়ার বেলাল হোসেনের কন্যার (৩২) সাথে একই এলাকার মধুমাঝিড়ার মৃত আজিজুল ইসলামের পুত্র আব্দুর রহীমের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের পারিবারিক বিবাদ লেগে যায়। এরমধ্যে তাদের সংসারে ২টি ছেলে সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। পারিবারিক কলহের জের ধরে গৃহবধূকে তার স্বামী তালাক দেওয়ার কথা বলে। একপর্যায়ে গৃহবধূ রাজি না হলে তার ননদ ও শাশুড়ুি মিলে শনিবার রাতে ঘরে আটকে রাখে। এরপর তালাক নামায় স্বাক্ষর নিতে জোর করে। স্বাক্ষর না করায় তাকে মারপিট নির্যাতনের এক পর্যায়ে মাথার চুল কটে দেয়।
রবিবার ভোরে সুযোগ পেয়ে গৃহবধূ ও বাড়ি থেকে পালিয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
গৃহবধূর চাচাতো ভাই রুবেল আহম্মেদ জানান, নির্যাতনের পর আমার বোনের মাথার চুল কেটে দিয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের দাগ রয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান জানান, ঘটনা শুনেছি। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বগুড়া সদর উপজেলার লাহিড়িপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাফতুন আহম্মেদ জানান, গৃহবধূকে মারপিট ও চুল কেটে দেয়ার ঘটনা শুনেছি। তাদের বিয়েটা নিজেদের আত্মীয়ের মাঝে হয়েছে।
সূত্রঃ কালের কন্ঠ