শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা এলাকায় অপহরণের পর পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ না দেয়ায় শাকিল মাদবর (১৫) নামের এক স্কুল ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল ভোরে পুলিশ ওই ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। শাকিল মাদবর উপজেলার হাজী কালাই মোড়লেরকান্দি গ্রামের সালাম মাদবরের ছেলে। সে স্থানীয় এ্যাম্বিশন কিন্ডার গার্টেন এন্ড হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত সাকিব মাদবর বাবু (২০) উপজেলার হাজি মমিন আলী ফরাজী কান্দি গ্রামের মজিবর মাদবরের ছেলে ও ইমরান মোড়ল (২০) পশ্চিম নাওডোবা মজিদ ঢালীর কান্দি গ্রামের খালেক মোড়লের ছেলে।
গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে শরীয়তপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন শিকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) তানভীর হায়দার শাওন, জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সুপার জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকালে জাজিরা উপজেলার হাজী কালাই মোড়লের কান্দি গ্রামের শাকিল মাদবরকে খেলার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত সাকিব মাদবর বাবু। পরে সাকিব মাদবর বাবু (২০), আক্তার মাদবর (২৬), সজিব মাঝি (২২), ইমরান মোড়ল (২০), মহসিন হাওলাদার (২৫) ও স্বপন সরদার (৪৫) অপহরণ করে উপজেলার মোসলেম ঢালীর কান্দি গ্রামের বারেক মৃধার বাড়ির পাশে আটকে রাখে। এক পর্যায়ে শাকিলের চাচা শাহাজুল ইসলাম মাদবরের কাছে মুঠোফোনে ও ম্যাসেজে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। অন্যদিকে শাকিলকে তার পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। মুক্তিপণ না দেয়ায় শাকিলকে হত্যা করে পদ্মা সেতু সংলগ্ন ওই গ্রামের বারেক মৃধার বাড়ির পাশের বালুর মাঠে, বালু মাটি দিয়ে চাপা দিয়ে লাশ গুম করে রাখে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি ইমরান মোড়লকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার তথ্য মতে গতকাল ভোরে শাকিলের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তর জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় জাজিরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন ওই ছাত্রের বাবা সালাম মাদবর। গত শুক্রবার অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ বাবু ও ইমরানকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে শরীয়তপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।