শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:২১ অপরাহ্ন
মোঃ রুম্মান হাওলাদার মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় সাংসদ ডাক্তার রুস্তম আলী ফরাজীর অবৈধ হস্তক্ষেপে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের ৬০ লক্ষ টাকা ফেরত যাওয়া এবং তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। মঙ্গলবার (৩০ জুন) উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে উপজেলা চেয়ারম্যান সহ ১১ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন এ প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, এডিপি বরাদ্দ পত্র পাওয়ার সাথে সাথে উপজেলা পরিষদের সভায় উপজেলা প্রকৌশলী উপস্থাপনা করবেন। কিন্তু সংসদ সদস্যদের হুমকির কারণে তিনি কোন সভা (এডিপি) এর বরাদ্দ উপস্থাপনা করেন নাই। মঠবাড়িয়া উপজেলায় দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকা অবস্থায় সংসদ সদস্য ডাক্তার রুস্তম আলী ফরাজীর হুমকির কারণে তিনিও এডিপি বাস্তবায়নের কোন উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেন নাই। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব ঊর্মি ভৌমিক দায়িত্ব গ্রহণ করার পরে এডিপি বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করলে আবারও সংসদ সদস্য হুমকি ও পরামর্শে উপজেলা প্রকৌশলী এডিপি বাস্তবায়নে বিলম্ব ঘটায়। তাছাড়া টেন্ডার কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার আগেই সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বিভিন্ন মহলে টেন্ডার দূর্নীতির অভিযোগ তুলে যায় সম্পূর্ণ হাস্যকর। গত মার্চ মাসে (কোভিট ১৯) করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি বেঁচে আছেন না মরে গেছেন তা মঠবাড়িয়া বাসী জানেন না। এমনকি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আম্পানেও তাকে কেউ খুঁজে পায়নি। কিন্তু যখনই মঠবাড়িয়ার স্বার্থে এডিপি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলো তখনই জানা গেল তিনি বেঁচে আছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাকে হুমকি ও চাপ সৃষ্টি করে তিনি সকল ঠিকাদারদের বিল স্থগিত সহ উন্নয়নের বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। লিখিত বক্তব্য শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে অন্যান্য চেয়ারম্যানগন বলেন, করোনার চলমান পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটি থাকায় মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের আওতায় উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ রাজস্ব তহবিলের প্রকল্প গ্রহণ ও টেন্ডার প্রক্রিয়া যথা সময় সম্পন্ন করতে পারেনি বিধায় নির্ধারিত ঠিকাদারগন কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি। ফলে পরিষদের সর্বসম্মতিক্রমে এলাকার উন্নয়নের সার্থে বিশেষ জামানত রেখে জুন ক্লোজিং এর সিদ্ধান্ত হয়। সংসদ সদস্য ডাক্তার রুস্তম আলী ফরাজী এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করার জন্য ইউএনও, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার, হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে চাপ সৃষ্টি করে। এতে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত ৬০ লক্ষ টাকা রিফান্ড বা ফেরত যায়। তিনি সবসময়ই উপজেলা পরিষদেকে অকার্যকর করার জন্য এবং উপজেলা পরিষদের যে কোনো কর্মকাণ্ডে সে বিরোধিতা করে থাকে আজ আমরা এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।