শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:২১ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ফেসবুকে ব্যঙ্গ করা ও পারিবারিক রাস্তা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের পরিকল্পিত হামলায় বাড়িঘর, দোকানপাট ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছে। উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের দুরুইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, ফেসবুকে ব্যঙ্গ করা এবং পারিবারিক রাস্তার সীমানা নিয়ে দুরুইল গ্রামে দীর্ঘদিন থেকে দুই পক্ষের মাঝে বিরোধ চলে আসছিল।গত ৮ জুলাই বেলা সাড়ে তিনটার সময় পূর্বেকার বিরোধকে কেন্দ্র করে মোবারক হোসেন মানিকের হুকুমে শাহীন আলম মামুনসহ ৩০/৪০জন দাঙ্গাবাজ হাতে রাম দা,রড,হকস্টিক লাঠি সোটা নিয়ে একই গ্রামের উওর পাড়ার মৃত মিরণ মিয়ার পুত্র জিলানীর বাড়ি ঘর ও দোকান পাটে ফিম্মিটাইলে হামলা চালায় এবং ব্যাপক ক্ষতিসাধনসহ লুটপাট করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে মো: চুনি মিয়া (৭৫),মোছাম্মদ সুলতানা বেগম(৩৫), জুলেখা বেগম(২৪), মো:বাবুল মিয়া(৩২)সহ ৪জন গুরুতর আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে মামলার বাদী মো: জিলানী সাংবাদিকদেরকে জানান। এর মধ্যে মো: চুনি মিয়া ও মোছাম্মদ সুলতানা বেগম কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থরা জানায়, মোবারক হোসেন মানিক জনবল,অর্থবলে গ্রামের সাধারণ মানুষকে মানুষ বলে মনে করতনা। সে তার পেশীশক্তি ও গোষ্ঠীর প্রভাবে যখন যা মনে চাইত তখন তাই করতেন। তার ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পেতনা বলেও জানা যায়।মোবারক হোসেন মানিক এর নেতৃত্বে একদল যুবক ফেসবুকে মিথ্যা কাল্পনিক কথা লিখে গ্রামে অপপ্রচার চালায় বলেও অভিযোগ উঠে।
এই ঘটনায় শাহীন আলম মামুন (৩০), উজ্জল মিয়া (৪০),রমজান (২৫) ,রাসেল(২৫)সহ ১৫জনকে আসামী করে কসবা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। কসবা থানা মামলা নং-১৯। ঘটনার সংবাদ পেয়ে কসবা থানা পুলিশ অত্যন্ত্য পরিকল্পনার সহিত অভিযান চালিয়ে ঐদিনই দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রসহ শাহীন আলম মামুন, উজ্জল মিয়া,রমজান ও রাসেলকে গ্রেফতার করে।
মামলার বাদী জিলানী জানান, দায়েরকৃত মামলা তুলে না নিলে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যসহ স্বাক্ষীদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হচ্ছে।
গ্রেফতারকৃতদেরকে ৯ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কসবা থানার এস আই মো:আনোয়ার হোসেন গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করেন এবং অন্য আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান। ক্ষতিগ্রস্থরা ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের কবল থেকে গ্রামের সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।