শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন
জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা
কাক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠেন রুবি বেগম(৩৫), রান্না করে ছেলেকে খাইয়ে নিজের জন্য প্লাস্টিকের বক্সে খাবার ভরে ছুটে যান কাজে। পাকা ঘর নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে কাজ করেন তিনি। আখাউড়া স্থলবন্দরে পাকাগৃহ নির্মাণ কাজ করার সময় তার সাথে কথা হয়।
রুবি বেগম জানায়,আখাউড়া পৌরসভার খরমপুর এলাকায় গত তিন বছর ধরে ভাড়া বাসায় থেকে নিয়মিত শ্রমিকের কাজ করে জীবন নির্বাহ করছে। তার বাড়ি সিলেট।
পাকা ইটের ছাদ ঢালাই কাজের শ্রমিক ফেডারেশনের কাজ করেন তিনি, তার তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
কাক ডাকা ভোরে উঠে নিজের ও ছেলের জন্য রান্না করেই ছুটে আসেন কাজে। সাথে করে দুপুরের খাবার ও নিয়ে আসেন। দরিদ্র পরিবারের রুবি বেগম পরিচিতজনদের মাধ্যমে সিলেট থেকে আখাউড়া এসে আশ্রয় নেন।
প্রথমে ছোট খাটো কাজ করেন। এতে সংসার না চলার কারনে বাধ্য হয়ে এ কাজে নেমেছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জন্য বেশ কিছুূদিন কাজ না থাকায় অনেক কষ্টে দিন কাটে তাঁর, খেয়ে না খেয়ে চলতে হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে বর্তমানে ওনিয়মিত কাজ থাকেনা। তার পরেও চলছে জীবন।
স্বামীর প্রসঙ্গ তুলতেই বলেন,পেটের ভাত যোগাতে তিন বছরের ছেলেকে ঘরে রেখে এসে শ্রমিকের কাজ করছি। স্বামী থাকলে কি এমনটা হতো। একেবারেই নিঃসঙ্গ একজন মানুষ তিনি। আত্মীয় স্বজন কেউ পাশে নেই, একমাত্র ছেলের চিন্তা করেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। বিভিন্ন স্থানে কর্মক্ষেত্রে নারী মজুরির বৈষম্য থাকলেও এখানে তিনি পুরুষের সমান মজুরি পাচ্ছেন বলেও জানান। কাজ শেষে মজুরি ৩৫০ টাকা পান। তার সঙ্গে কর্মরত পুরুষ শ্রমিকরা ও একই পরিমাণ টাকা পান।