জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা
আখাউড়া মাতৃসেবা নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলেছে মরিয়ম বেগম নামে এক মহিলা। এই হাসপাতালে অপারেশনে ভুল করায় গত আড়াইমাস ধরে তার কন্যা সাথী আক্তার(২০) অসুস্থ্যতায় ভুগছে।
এ ঘটনায় মহিলা বাদি হয়ে গত ১৯ জুলাই আখাউড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে অপারেশনে ভুল হয়নী,প্রসূতি অন্য রোগে ভুগছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামের মোঃ সেলিম মিয়ার কন্যা সাথী আক্তারের প্রসব ব্যাথা উঠলে আখাউড়া ধরখার ইউনিয়নের তন্তর বাজারে অবস্থিত মাতৃসেবা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে আসেন।চিকিৎসকদের পরামর্শে গত ৬ মে তার অপারেশন হয়।তিন দিন হাসপাতালে থাকার পর সন্তানসহ এই সাথী আক্তার ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে চলে যান।বাড়ি যাওয়ার পর তার অপারেশনের জায়গা থেকে অনবরত রক্তক্ষরণের ফলে তার অবস্থা প্রায় মরণাপন্ন হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় আবার ও পরিবারের লোকজন তাকে মাতৃসেবা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন।সেখান থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাথী আক্তারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠায়।সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।তারপর ও সে সুস্থ ও স্বাভাবিক হয়নী।চিকিৎসকের ভুল অপারেশনের জন্য তার কন্যার এই অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছে মরিয়ম বেগম।
মাতৃসেবা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মোঃ লিটন খন্দকার জানায়,ভুল চিকিৎসা কিংবা ভুল অপারেশন হয়নী।সঠিক চিকিৎসা নিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে সাথী আক্তার ও তার সন্তান ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন।পুনরায় তাকে হাসপাতালে আনার পর অপারেশন গত কোন সমস্যা ছিলনা।অর্থের লেনদেন সংক্রান্ত একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের হাসপাতালকে জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে বলে ও তিনি জানান। এ বিষয় টি গ্রাম্যশালিষে বসে মীমাংসা করার চেষ্টা চলছে বলে ও বিশ্বস্ত একটি সুত্রে জানা যায়।
এ অভিযোগের তদন্দকারী কর্মকর্তা আখাউড়া ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির (পরিদর্শক) বিমল কর্মকার জানান,অভিযোগের তদন্ত চলছে।তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।