শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৫১ অপরাহ্ন
বাজিতপুরে চাঞ্চল্যকর রাব্বি হত্যা মামলার মূলহোতাসহ ৬ জন আটক
কিশোরগেঞ্জর বাজিতপুরে চাঞ্চল্যকর ইজি বাইক চালক রাব্বি হত্যা মামলার
মূলহোতাসহ ৬ জনকে আটক করেছে র্যাব। গতকাল রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
তাদেরকে আটক করা হয়। অটো রিকসা ছিনতাইয়ে বাধাঁ দেয়ায় রাব্বিকে গলায় গামছা
পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়। পরে লাশ গুম করতে সেফটি ট্যাঙ্কের
ভেতরে ফেলা দেয়া হয়। আজ রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য
নিশ্চিত করেন র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের।
র্যাব জানায়, জেলার বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের রুস্তমপুর
গ্রামের নিলু মিয়ার ছেলে নিহত রাব্বি গেল ৭ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে
(ব্যাটারি চালিত) ইজি বাইকসহ নিখোঁজ হয়।
নিহতের পরিবারের দাবী ছিল, পাশের এলাকা হাফানিয়া গ্রামের বাদল মিয়ার
মাদকাসক্ত ছেলে সাচ্চু রাব্বীর ইজি বাইকটিকে রিজার্ভ হিসেবে ভাড়া করে
শহরে নিয়ে যায়। তাদের ধারণা ছিল, সন্ধ্যার পর অন্ধকারে ইজি বাইকটি চুরি
করে নিয়ে যেতে চাইলে বাধাঁ দেয়ায় রাব্বীকে সাচ্চু মেরে ফেলেছে। একই সাথে
ঘটনাটি দামাচাপা দিতে তার লাশ গুম করা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনার পর থেকে
সাচ্চু পলাতক ছিল। অবশেষে তাদের ধারণাই সঠিক হয়। প্রায় এক সপ্তাহ পর
হত্যা মামলার প্রধান আসামী সাচ্চুর বাড়ির পাশ থেকে নিখোঁজ রাব্বীর মরদেহ
একটি সেপটি ট্যাঙ্কের ভেতর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের বড় ভাই
সাদেক মিয়া বাদী হয়ে সাচ্চুকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাতনামা ৭জনের
বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে।
র্যাব আরও জানায়, ঘটনার পর সাচ্চু এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে
চট্টগ্রামের আকবর শাহ উপজেলার অলংকার নামক এলাকায় অবস্থান নেয়। সেখানে সে
রাজমিস্ত্রীর সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান
চালিয়ে তাকে আটক করে র্যার। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে সাচ্চু জানায়, অটো
ছিনতাইয়ে বাঁধা দেয়ায় রাব্বিকে গলায় গামচা পেচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে
ফেলা হয়। পরে ঘটনা চামাচাপা দিতে লাশ গুম করা হয়। এছাড়াও তার দেয়া তথ্যে
হত্যাকান্ডে জড়িত ইয়াসিন, আজিজুল, দুলাল, মাসুম, বিল্লালসহ আরও ৫জনকে আটক
করা হয়েছে। একই সাথে ছিনতাই হওয়া অটো রিকসাটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদেরকে আটক করায় র্যাব সদস্যদের প্রতি
কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে নিহতের পরিবারসহ এলাকাবাসী।