শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৩১ অপরাহ্ন
পিরোজপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ আব্দুল হাই হাওলাদারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বাড়ি দখল ও এক বৃদ্ধাসহ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। রবিবার রাতে এ অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন বৃদ্ধার ছেলের স্ত্রী মোসাম্মৎ ইতি ইসলাম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর সার্জিকেয়ার ক্লিনিকের সামনে একটি বসতবাড়ি জাল দলিল করে দীর্ঘদিন দখলের পাঁয়তারা করে আসছিল কাউন্সিলর আব্দুল হাই। এসংক্রান্ত একটি মামলা পিরোজপুর দেওয়ানি আদালতে চলমান রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তির আগেই রবিবার সকালে প্রায় ২০০ সন্ত্রাসীর একটি বাহিনী দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত হয়ে বাড়িটির ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা বাড়ির বৃদ্ধ, শিশু ও নারীদের ওপর নির্যাতন চালায়।
বাড়ির মালিক মোসাম্মৎ ফাতেমা বেগম (৭০) এগিয়ে এলে কাউন্সিলর হাই ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা তাঁকে বেধড়ক পেটায়। মারধরের একপর্যায়ে তাকে জিআই পাইপ দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করতে গেলে বাঁ হাত দিয়ে ঠেকানোর সময় হাতটি ভেঙে যায়। বৃদ্ধাকে ফেলে রেখে তাঁর ছেলের বউয়ের ওপর নির্যাতন চালায়। এ দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করতে গেলে বৃদ্ধার কলেজপড়ুয়া নাতনির ওপর নির্যাতন চালায় এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
বাসার লোকজনকে রক্তাক্ত জখম করে বাসার সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের মালামাল লুট করে। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসীরা তাদের তিন-চারটি দোকানঘর ভেঙে ফেলে এবং তারকাঁটা দিয়ে হাঁটার পথসহ জায়গাটি ঘিরে দেয়। এরপর কাউন্সিলর আব্দুল হাইয়ের নামে জায়গায় সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দেয়।
মামলার বাদী ইতি ইসলাম বলেন, মধ্যযুগীয় কায়দায় কাউন্সিলর হাই বিশাল এক সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হঠাৎ করেই অতর্কিতে আমাদের ওপর হামলে পড়ে। আমার শাশুড়িকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে। আমার কোলে শিশু থাকা সত্ত্বেও কোনো মিনতি শোনেনি। বাচ্চাটাকেসহ আমাকেও মেরেছে।
কাউন্সিলর আব্দুল হাই বলেন, আমার ক্রয়কৃত জায়গা তারা দখল করে রেখেছে। উদ্ধার করতে গেলে আমার লোকজনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়েছে। তবে তাদের সব অভিযোগ সত্য নয়।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, সংবাদ পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে বাদীদের চলাচলের রাস্তা ঠিক করে দিই। মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।