শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৮ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পদ্মবিলে ঘুরতে আসা টুরিষ্টদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার অভিযোগ উঠেছে।
আখাউড়ায় বিলের পানিতে ফুটে উঠেছে জলজ ফুলের রানী পদ্ম। উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ঘাগুটিয়ার এবং ধর্মনগর গ্রামের কালিবাড়ি পদ্মবিলে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া পদ্মফুল সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে পুরো এলাকার। তাই ভ্রমণ প্রিয় মানুষদের জন্য এই পদ্ম বিল দুটি সবার কাছে খুব প্রিয় একটি দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে। তাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এই পদ্মবিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসে প্রকৃতিপ্রেমীরা। অনেকেই উপভোগ করতে নৌকা ভাড়া করে তাতে করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পদ্ম বিলে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নৌকার মাঝিরা আখাউড়া পদ্মবিলে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত নৌকা ভাড়া টাকা (নৌকার ভাড়া ) আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিনই প্রিয়জন, পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের নিয়ে এই পদ্মবিলে প্রায় হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটে থাকে, যার অধিকাংশ সময়ই সারা বিল জুড়ে নৌকা নিয়ে এদিক-সেদিক ঘুরছে। আবার কেউ পদ্মফুলের সাথে নিজের ছবি ফ্রেমে বন্দি করছে। দেশের বিভিন্ন যায়গা থেকে পদ্মবিল দেখতে আসা দর্শনাথীরা জানান, বাংলাদেশের যে কটি পদ্মফুলের বিল রয়েছে তার মধ্যে ঘাগুটিয়ার এবং ধর্মনগর গ্রামের কালিবাড়ি বিল এদের মনে অন্যতম। আখাউড়ার এই সৌন্দয্য ভরা পদ্মবিল দেখতে আমাদের মতো অনেক লোকজন দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন। পদ্মবিলের আনন্দ উপভোগ করার জন্য বিলের মধ্যে যেতে হয়। আর তার জন্য প্রয়োজন হয় নৌকা। এলাকাবাসী জানায়, এখানকার স্থানীয় কিছু লোকজন নৌকা দিয়ে দর্শনার্থীদের বিলে ঘুরাতে নিয়ে যান। কিন্তু এ সব নৌকার মাঝি দর্শার্থীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করে চলেছে। যা একরকম নীরব চাঁদাবাজি।
জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে পদ্মবিল দেখতে আসা ইভা খানম জানান, দুই জন ৩০ মিনিট নৌকায় ঘুরলাম। ৩০ মিনিটের মধ্যে নৌকার মালিক একাধিকবার আমাদেরকে বলতেছে আপু হয়েছে? চলে যাব? ভালো করে দু’একটি ছবি ও তুলতে পারিনাই। নেই নৌকা চালোনোর কোন দক্ষতা। পরে পাড়ে এসে বলল ভাড়া হিসেবে পাঁচ শত টাকা দিতে। কি আর করা, এক পর্যায়ে ৫০০ টাকা দিতে বাধ্য হলাম। একই অভিযোগ করেন, শরিফুল,ইব্রাহীম খলিল, সমুন, আরমান,বোরহান,শেফালীরা ও। তারা জানান, স্থানীয় প্রশাসন যদি নৌকার ভাড়া নির্ধারন করে দিতেন, তাহলে পদ্মবিলে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য অনেক ভালো হতো।
তাতে বেড়ে যেত বর্তমানের চেয়ে দ্বীগুন টুরিস্টদের সংখ্যা।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-ই আলম বলেন,অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এ বছর যেহেতু পদ্মফুল শেষ পর্যায়ে তাই আগামী বছর দর্শনাথীদের জন্য নৌকার ভাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্ধারন করে দেওয়া হবে।