শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পুনিয়াউট এলাকার একটি কাশবনে ঘুরতে গিয়ে স্থানীয় বখাটেদের কাছে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন এক তরুণী।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ওই তরুণীর শ্লীলতাহানির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শহর জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠে। এ ঘটনায় জড়িতকে শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দুপুরে ফেসবুক ভিত্তিক সামাজিক সংগঠন আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার “উইশ ফর বেটার ব্রাহ্মণবাড়িয়া” নামের ফেসবুক পেইজে ওই তরুণীকে শ্লীলতাহানির একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, কালো বোরকা পরা এক তরুণী শহরের পুনিয়াউট এলাকার কাশবনে ঘুরতে যান। সেখানে তাকে স্থানীয় ৩/৪ জন বখাটে উত্ত্যক্ত করছেন। তরুণীর ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে টাকা নিয়ে যায় তারা। এ অবস্থায় ওই তরুণী বখাটেদের পায়ে ধরে বড় ভাই ডেকে কাকুতি মিনতি করেন। কিন্তু তারা মেয়েটির বোরকা খোলার চেষ্টা করে এবং তাকে শ্লীলতাহানি করে।
ফেসবুক পোস্টে বখাটেদের একজনের নাম রহিম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সে শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকার ধন মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশ জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।
সুত্র সময় টিভি
গতকাল রাতে এই গ্রুপে একটি পোস্ট আসে। ভিডিওতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে স্থানীয় একটি ছিনতাইকারী চক্র, পুনিয়াউট কাশবনে বেড়াতে আসা একটি মেয়েকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানির চেষ্টা করছে এবং টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। ভিডিওতে মেয়েটির চেহারা স্পষ্ট দেখা যাওয়ায় এবং সামাজিকভাবে মেয়েটি হেয় প্রতিপন্ন হতে পারে বিবেচনায় অ্যাডমিন প্যানেলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পোস্টটি এপ্রুভ করা হয়নি।প্রাথমিক খোঁজখবর নিয়ে এটুকু নিশ্চিত হওয়া গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুনিয়াউট এলাকায়। ছিনতাইকারী ছেলেটির নাম রাহিম, পিতার নাম- ধন মিয়া, বাড়ি-ছয়বাড়িয়া।সে "লক্ষ মোদের মানব সেবা" নামে একটি ফেসবুক গ্রুপের অ্যাডমিন।ভিডিওটি থেকে এটুকু ধারনা করা যায় যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেড়াতে যাওয়ার মতো দর্শনীয় জায়গাগুলো দর্শনার্থীদের জন্য মোটেও নিরাপদ নয়। তাই এই গ্রুপের মাধ্যমে আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে অনুরোধ করতে চাই- রসুলপুর, কাশবন, পদ্মবিল, ধরুন্তি সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল দর্শনীয় স্থানগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হোক এবং ভিডিওটি দেখে অপরাধীকে সনাক্ত করে দ্রুত কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হোক।
Gepostet von আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া am Dienstag, 22. September 2020