শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ন
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও সংলগ্ন মসজিদের বারান্দা নির্মাণ কাজে চাঁদা দাবি করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৬-৭ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল। অভিযোগ করা হয়েছে, চাঁদা দাবি করা ২ লাখ টাকা না পেয়ে ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির লোকজনকে মারপিটও করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।
প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মইনুল মাস্টার। তিনি উপজেলার ২নং পালশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফয়সাল হোসেনসহ ৬/৭ জন।
এই চাঁদাদাবির মামলায় গ্রেফতার ব্যক্তি নাম ইরফানুল হক জুয়েল (৩৫)। তিনি দেওগ্রাম পশ্চিম পাড়ার শামসুল হকের ছেলে।
ঘোড়াঘাট থানায় মামলার এজাহারে উল্লেখ, উপজেলার ডুগডুগী বাজারে হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও সংলগ্ন মসজিদের বারান্দার নির্মাণ কাজ চলাকালীন মইনুল মাস্টার ও ফয়সাল হোসেনের নেতৃত্বে ৬-৭ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদাবাজি করেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টার দিকে ফয়সাল ও জাহাঙ্গীর নামের দুইজন মসজিদের বারান্দার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসা ও মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির লোকজন এসে পুনরায় কাজ চালু করে দেন।
একই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে ম্যানেজিং কমিটির লোকজন মাদ্রাসার অফিস কক্ষে বসে থাকা অবস্থায় সংঘদ্ধ দলটি মইনুল মাস্টারের নেতৃত্বে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে আসে। তারা দাবি করা ২ লাখ টাকা না দিয়ে পুনরায় কাজ শুরু করায় অকথ্য ভাষা গালাগালি করতে থাকে। এক পর্যায়ে তার হুমকি ও উপস্থিত ম্যানেজিং কমিটির লোকজনের ওপর চড়াও হয়ে লাঞ্ছিত করেন। ঘটনা টের পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা সটকে পড়েন।
তিনি উপজেলার ২নং পালশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চাঁদাবাজি, মাদকপাচার (কোকেন), মারামারি ও পুলিশ এ্যাসাল্টসহ ৯ টি মামলা তদন্তধীন ও বিচারাধীন। গত ১ অক্টোবর সর্বশেষ ঘোড়াঘাট থানায় চাঁদাবাজির আরেকটি মামলা রুজু হয়। থানা সূত্র জানায়, ২০২০ সালেই মইনুল মাস্টারের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। তার সঙ্গীয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও থানা মামলা আছে।
ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আজিম উদ্দীন জানান, এ মামলায় একজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্যদের ধরতে জোড় চেষ্টা চলছে।
সুত্র ইত্তেফাক