মোঃ রুম্মান হাওলাদার মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তাফালবাড়িয়া হাসানিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় আয়া পদে এক নারীকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মাওলানা মোস্তফার বিরুদ্ধে।
এলাকায় নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ওই শিক্ষক তারই আপন ভাইপো প্রতিবন্ধী দিনমজুর সোবহানের স্ত্রীকে চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ১ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেন বলে জানা গেছে। জানা গেছে,মোস্তফা তাফালবাড়িয়া গ্রামের মৃত কাঞ্চন আলী ফরাজীর পুত্র এবং ওই মাদ্রাসায় কর্মরত শিক্ষক। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা খলিলুর রহমান তার আপন ভাই।বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে ২টি পদ সৃষ্টি হওয়ায় নিয়োগের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে শুরু হয় আধিপত্য বিস্তারের লড়াই। গত ২ অক্টোবর মোস্তফা তার পছন্দের প্রার্থীর নিয়োগ নিশ্চিতকরনে মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে বসত ঘর নির্মান করেন।ওই অবৈধ ঘরে মহিলাদের উঠিয়ে দিয়ে দখল টিকিয়ে রাখার অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছেন তিনি।নারী নির্যাতন মামলার ভয় দেখিয়ে এলাকায় মগের মুল্লুক কায়েম করারও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।ইতোমধ্যে কয়েকজনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেল খাঁটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্হানীয়রা। স্থানীয়রা জানান, আমরা মাদ্রাসার মধ্যে গায়ের জোরে উঠানো অবৈধ ঘর ভেঙে ফেলতে পারতাম। কিন্তু মাওলানা মোস্তফা উগ্রবাদী জঙ্গিগোষ্ঠীর সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে।এর জন্যই আমাদের ভয় লাগে।তার ছেলে ইতোপূর্বে ভারতে জঙ্গি সম্পৃক্ততায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল। এতে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত। তারা আরও জানান, রাতের বেলায় ওই ঘরে রামদা,লাঠি সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাহারা দিতে দেখা গেছে।ওই মাদ্রাসার শিক্ষক হয়ে মোস্তফা ও জাকারিয়ার সন্ত্রাসী আচরনে এলাকাবাসী হতাশ হয়ে পড়েছে।প্রশাসনকেও রক্তচক্ষু দেখায় তারা।আসলে এরা কারা? মঠবাড়িয়ার থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল হক জানান,”সরেজমিনে গিয়েছি।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চত্বরে পারিবারিক বিরোধ নিয়ে বসত ঘর তৈরি করা কোনভাবেই ঠিক হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।” উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, “সরেজমিনে তদন্ত করেছি। মাদ্রাসার চত্বরে বসতঘর নির্মাণ করে অবৈধভাবে মাদ্রাসার জমি গায়ের জোরে দখলকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” উপজেলা নির্বাহি অফিসার ঊর্মি ভৌমিক জানান, “এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।মঠবাড়িয়া থানার ওসি এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।”