শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:২২ পূর্বাহ্ন
ইন্দুরকানীতে চালের পোকা মারার ওষুধ খেয়ে শেফালী রানী (৪৫) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে ।
শেফালী রানী উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের রাজ মিস্ত্রী শংকর কুমার শীলের স্ত্রী । শেফালীর বড় মেয়ে কলেজ পড়ুয়া শান্তি রানী জানান, শনিবার দুপুরে চালের পোকা নিধনের ওষুধ খায় আমার মা। এরপরে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিকালে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকাল ৮ টার দিকে আমার মা মারা যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের খোকা হাওলাদারের ছেলে দুলাল হাওলাদারের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে শেফালী রানীর পরকিয়ার সম্পর্ক ছিলো। শেফালী বিভিন্ন সময় অনেক এনজিও থেকে দুলালকে ঋণ নিয়ে টাকা তুলে দিতেন। গত কয়েক দিন ধরে শেফালীর সাথে দুলালের ঋণের টাকা নিয়ে মনমালিন্য চলছিলো। দুলাল শেফালীকে টাকা না দিয়ে বাজে ব্যবহার করেন। তাই দুলালের সাথে অভিমান করে শেফালী কিটনাশক খায়। পরে তিনি অসুস্থ হলে দুলালই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এবং সেখানে তিনি মারা যান।
স্থানীয় চিকিৎসক বিধু ভূষন মন্ডল জানান,শনিবার বিকালে শেফালী রানী অসুস্থ হলে আমাকে তাদের বাড়িতে ডেকে নেন। এসময় শেফালী চালের পোকা মারা ওষুধ খেয়েছেন বলে আমাকে জানান। কেন খেয়েছে জানতে চাইলে শেফালী বলেছিলেন কেউ একজন তাকে গালি দিয়েছেন।’
শেফালী রানীর ছোট মেয়ে সাথী রানী জানান, আমার বাবা শংকর কুমার দীর্ঘ দিন ধরে মঠবাড়িয়া উপজেলায় আমার নানা বাড়িতে থেকে রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। তিনি নিয়মিত বাড়িতে থাকেন না। দুলালের আমাদের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিলো।
বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করার পরেও দুলালের সাথে তাকে পাওয়া যায়নি।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেফালী রানী মারা গিয়েছেন। তাদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সুত্র ইন্দুরকানী আলো