বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন
নামের সঙ্গে মিল রেখে ‘আমি ডানা কাটা পরী, আমি ডানা কাটা পরী’ গানে অভিনয় করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন অভিনেত্রী পরীমনি।
সৌন্দর্যেও কোনো অংশে কম নয়। এবার নিজের জন্মদিনে গত ২৪ আগস্ট পরীর সাজে নিজের রূপ দেখান পরী।
প্রতি বছর জন্মদিনে নতুন নতুন চমক থাকে তার। এবারো ব্যতিক্রম হয়নি। শনিবার রাতে রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলে উযাপিত হয় তার জন্মদিনের অনুষ্ঠান। এ সময় ময়ূরের বেশে হাজির হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন এই নায়িকা।
প্রত্যেক জন্মদিনে আলাদা রঙ বেছে নেন পরীমনি। এবার সবুজ কেন? উত্তরে পরীমনি বলেন, প্রতিবছর আমার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে একটি আলাদা রঙ নির্ধারণ করে থাকি।
এ বছরের বেশিটা সময় ঘরবন্দি কেটেছে। প্রকৃতির রঙ সবুজ, আমার কাছে মনে হয়েছে এই রঙটি মনে একটা অন্যরকম প্রশান্তি দেয়। তাই এবার সবুজ বেছে নিয়েছি।
তবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র এখনও পর্যন্ত দেশের তরুণ প্রজন্মের মনে তেমনটা জায়গা করে নিতে পারেনি তা বরাবরের মতোই প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা তরুণ প্রজন্ম বুঝিয়ে দেয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখ রাখলেই দেখা যায়, পরীমনির জন্মদিনের চেয়ে প্রজন্ম ব্যস্ত তার খুঁত ধরাতে।
ওই দিন পরীমনি সাংবাদিকদের জানান কেন তিনি সবুজকে বেছে নিয়েছেন। এসময় ‘ময়ূর’ এর ইংরেজি শব্দ ‘পিকক‘ উচ্চারণ করতে গিয়ে ‘ককপিক‘ উচ্চারণ করেন।
তাৎক্ষণিক তিনি আবার শুদ্ধ উচ্চারণটাই করেন। তবে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ট্রল করতে থাকেন অনেকেই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেসবুকে ভিডিওটি শেয়ার করা একজন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট জানান, অভিনেত্রীরা দেশের সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করেন। অভিনয়ের মাধ্যমে মানুষের মনে জায়গা করে নেন।
কিন্তু আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা সে জায়গা থেকে অনেকটাই ব্যর্থ।
এজন্য বিনোদন নিতে তরুণরা আধুনিক বিশ্বের দিকে ঝুঁকছে। সেই সাথে দেশের শিল্পীদের ছোটখাটো ভুলগুলোকেই ট্রল করে বিনোদন হিসেবে নিচ্ছে।
পরীমনি একটা শব্দ ভুল করলেন সেটা বড় কথা নয়।
ছোট ভুলগুলোকে তখনই মানুষ বড় করে দেখে এবং ট্রল করে, যখন ব্যক্তিটা মানুষের মনে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়।