শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুরঃ
রবিবার গভীর রাতে পিরোজপুরের শহরতলীর কুমারখালী সিকদার বাড়ি এলাকায় চুরি মামলার আসামি গ্রেপ্তার করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় পিরোজপুর সদর থানার চারজন চারজন সাব-ইন্সপেক্টর ও একজন কনস্টেবল গুরুতর আহত হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, সদর থানার এসআই সৈকত হোসেন সানি, এসআই মাহামুদুল হাসান, এসআই মো. খাইরুল হোসেন, এএসআই সাইফুল ইসলাম এবং কনস্টেবল মো. মারুফ হাওলাদার। এ সময় গ্রেফতারকৃত আসামি হাসান শিকদার আহত হয়। পুলিশ এ হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নবনির্বাচিত পৌর কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু শিকদারের ২ পুত্র সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় কুমারখালী এলাকা এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, রবিবার রাত একটায় চুরি মামলার আসামি কুমারখালীর আনোয়ার শিকদারের ছেলে হাসান শিকদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় পিরোজপুর পৌর কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু শিকদার বাধা দেয়। এক পর্যায়ে আসামী ছিনিয়ে নিতে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে ৫ জন পুলিশ সদস্যকে আহত করে। এ দিকে ঐ কাউন্সিলর আবু শিকদার পুলিশের উপর হামলার ঘটনার জড়িত কিছু লোকজন এবং গ্রেফতারকৃত হাসানের আত্মিয় স্বজন নিয়ে থানায় উপস্থিত হলে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে এবং ৭ জনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান জানান, গ্রেপ্তার করতে গিয়ে আসামিপক্ষের লোকজনের হামলায় পাঁচ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে দুই জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি মোঃ নূরুল ইসলাম বাদল জানান, গুরুতর আহত পুলিশ দুজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর ৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় সোমবার ১৬ জনকে এজাহার ভূক্ত আসামি ও ৩০/৩৫ জনকে অজ্ঞাত নামা সদর থানায় মামলা হয়েছে।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তারেক আজিজুলাহ জানান, রাত ২টার পরে আহত পাঁচ পুলিশ সদস্যকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া দুইজন আসামিকেও আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়।