শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
পিরোজপুর শিক্ষককে হাতুড়িপেটা, বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার কাউখালীতে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনতা ও প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত ভান্ডারিয়ায় স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন নেছারাবাদে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লোহার পুল ও প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মঠবাড়িয়ায় ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল গৃহবধূর লাশ, স্বামী ও শ্বশুর আটক পিরোজপুর জেলা বিএনপির আংশিক আহবায়ক কমিটি ঘোষণা কাউখালীতে মন্ডপগুলোতে চলছে দুর্গা পূজার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পিরোজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান নেছারাবাদে ২৬ জন শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা পিরোজপুরে পিয়ার পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল ভান্ডারিয়ায় ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে নদীতে জাল ফেলছে জেলেরা! মিলছে না কাঙ্খিত ইলিশ পিরোজপুর ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এর কমিটি গঠন: সোহাগ সভাপতি, মিঠু সম্পাদক কাউখালীতে অপহরণের তিন মাস পর সপ্তম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী উদ্ধার কাউখালীতে জেলের মরদেহ উদ্ধার ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারীকে প্রাণ নাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ভাণ্ডারিয়া শাহাবুদ্দিন কামিল মাদ্রাসায় আলিম শ্রেণীর প্রথম ক্লাস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা ভাণ্ডারিয়ার চাঞ্চল্যকর আসমা হত্যার বিচার দাবিতে পিরোজপুরে মানববন্ধন কাউখালীতে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত মঠবাড়িয়ায় বাবাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেফতার
তুষখালী নিম্ন বালিকা মাঃ বিদ্যালয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

তুষখালী নিম্ন বালিকা মাঃ বিদ্যালয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) সংবাদদাতা: মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী নিম্ন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মূল সনদপত্র ও একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট খামখেয়ালি করে আটকিয়ে জিম্মি করে রাখা সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে একাধিক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে বুধবার (১০ মার্চ) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সাদিয়া সাফা নামে এক শিক্ষার্থী তুষখালী নিম্ন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৯ সালে জে,এস,সি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে উত্তীর্ণ হয় (রোল নং ১৫৫১১৭)। এরপর ভর্তি হয় তুষখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ৯ম শ্রেনীর বার্ষিক পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়ে এখন সে ১০ম শ্রেনিতে অধ্যায়নরত। রেজি: নম্বর ১৯১৫৪৩৭৫৪২। কিন্তু নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি সদ্য মাধ্যমিক শাখার পাঠদানের অনুমোদন পাওয়ায় শিক্ষার্থীর অজান্তেই ইচ্ছে মত নিজ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও রেজিষ্ট্রেশন করে রাখেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান। জে,এস,সি পাশের সনদ ও একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট চেয়ে লিখিত আবেদন দিতে গিয়ে বারবার হেনস্তা হয়েছেন ওই শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবক।

তাজ বিনতে মাহফুজ বর্তমানে তুষখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী। সংলগ্ন নিম্ন মাধ্যমিক থেকে জে,এস,সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ইচ্ছা ছিল তুষখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এস,এস,সি পাশ করার। সে অনুযায়ী নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে এবং রেজিষ্ট্রেশনও সম্পন্ন হয়। কিন্তু অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের প্রতিহিংসায় পড়াশুনা অনেকটাই বন্ধ ওই শিক্ষার্থীর। পূর্বের বিদ্যালয় থেকে জে,এস,সি মূল সনদ ও একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট আনতে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের অশালীন ভাষায় গালাগালি শুনতে হয় তাকে। তুষখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে কিভাবে এস,এস,সি পরীক্ষা দিবে তাও দেখিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। বোর্ড কর্তৃপক্ষ সব সময়ই শিক্ষার্থীদের সুবিধা ও ইচ্ছাকে প্রধান্য দিলেও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের খামখেয়ালী পনায় অনেকটাই মানুষিক বিষন্নতায় ভুগছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাজ বিনতে মাহফুজ ও তার অভিভাবক।

আর এক শিক্ষার্থী ফারিয়া আক্তার প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। নিম্ন মাধ্যমিকে সনদ আনতে গিয়ে অভিভাবক লাঞ্চিত হওয়ায় আর পড়াশুনা করতে চাচ্ছে না সে। ক্ষোভ প্রকাশ করে তার মা বলেন, আমার মেয়েটি এখন কারও সাথে কোন কথা বলে না। বেশির ভাগ সময়ই একা একা থাকে। আমাদেরও সব সময় চিন্তা হয়-মানুষিক বিষন্নতায় কোন দুর্ঘটনায় শিকার হয় কিনা? কোন সমস্যা হলে এর দায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককেই নিতে হবে।

তুষখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে তুষখালী নিম্ন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি দুরত্ব মাত্র ১০ ফুট। এক প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ ফুট দুরত্বে আর এক প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক শাখা অনুমোদনের বিষয়টি বিধি মোতাবেক নয় বলেও অভিযোগ রয়েছে শিক্ষানুরাগীদের। দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পাশাপাশি হওয়ায় সদ্য অনুমোদন পাওয়া বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে অনিয়ম জড়িয়ে পরেন। শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে রাখার পাশাপাশি শিক্ষা বোর্ডকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত তৈরি করারও অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।

প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান জানান, ওই ছাত্রীরা ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত আমার প্রতিষ্ঠানে পাঠদান গ্রহন করেছে। আমি চাই ওরা আমার বিদ্যালয় থেকেই এস,এস,সি পাশ করুক।অভিভাবকদেও লাঞ্চিত করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যমান অনাকাক্ষিত সৃষ্ট সমস্যা স্থানীয় পর্যায়ে সমাধান হওয়া সম্ভব।

এ ব্যাপারে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন জানান, যৌথ রেজিস্ট্রেশনকৃত শিক্ষাথীদের তালিকা যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে একটি বিদ্যালয়েই রেজিস্ট্রেশন কার্ড পাঠানো হবে। মূল সনদপত্র ও একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট আটকে রাখার কোন সুযোক নেই। অভিযোগ পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন










© All rights reserved © 2025 pirojpursomoy.com
Design By Rana