শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
পিরোজপুর শিক্ষককে হাতুড়িপেটা, বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার কাউখালীতে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনতা ও প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত ভান্ডারিয়ায় স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন নেছারাবাদে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লোহার পুল ও প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মঠবাড়িয়ায় ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল গৃহবধূর লাশ, স্বামী ও শ্বশুর আটক পিরোজপুর জেলা বিএনপির আংশিক আহবায়ক কমিটি ঘোষণা কাউখালীতে মন্ডপগুলোতে চলছে দুর্গা পূজার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পিরোজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান নেছারাবাদে ২৬ জন শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা পিরোজপুরে পিয়ার পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল ভান্ডারিয়ায় ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে নদীতে জাল ফেলছে জেলেরা! মিলছে না কাঙ্খিত ইলিশ পিরোজপুর ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এর কমিটি গঠন: সোহাগ সভাপতি, মিঠু সম্পাদক কাউখালীতে অপহরণের তিন মাস পর সপ্তম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী উদ্ধার কাউখালীতে জেলের মরদেহ উদ্ধার ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারীকে প্রাণ নাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ভাণ্ডারিয়া শাহাবুদ্দিন কামিল মাদ্রাসায় আলিম শ্রেণীর প্রথম ক্লাস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা ভাণ্ডারিয়ার চাঞ্চল্যকর আসমা হত্যার বিচার দাবিতে পিরোজপুরে মানববন্ধন কাউখালীতে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত মঠবাড়িয়ায় বাবাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেফতার
ভাণ্ডারিয়া শাহাবুদ্দিন কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, সভাপতি ও অফিস সহকারির বিরুদ্ধে ১৯লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ভাণ্ডারিয়া শাহাবুদ্দিন কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, সভাপতি ও অফিস সহকারির বিরুদ্ধে ১৯লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ভাণ্ডারিয়া শাহাবুদ্দিন কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আব্দুর রহিম খান

ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর ) প্রতিনিধিঃ
ভাণ্ডারিয়ার অন্যতম প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শাহাবুদ্দিন কামিল মাদ্রাসায় অভ্যন্তরীন আয় ব্যয়ের নীরিক্ষা প্রতিবেদনে বড় ধরনের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভ্যন্তরীণ তদন্তে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, সভাপতি এবং অফিসহকারীসহ আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে প্রায় ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এ  বিষয় পিরোজপুর  জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) স্থানীয় সরকার ও ভাণ্ডারিয়া শাহাবুদ্দিন কামিল মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষকে কারন দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে। গত ১৭ জুন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক অর্থ আত্মসাতের কারণ দর্শানোর জবাব দাখিলের জন্য ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে  অধ্যক্ষকে জবাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে সংশ্লিষ্ট মাদ্রসার অধ্যক্ষ সুকৌশলে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে জবাব না দিয়ে ১৫দিনের সময় চেয়ে আবেদন করেন। কারণ মাদ্রাসার এডহক কমিটির মেয়াদ ১০দিন পরে শেষ হয়ে যাবে। একারনে অধ্যক্ষ এ কৌশলটি ব্যবহার করেন।
জানাগেছে, বর্তমানে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা পরিচালনার কোন কমিটি নাই। এর প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ২০২৩-২০২৪ অভ্যন্তরীন হিসাব নীরিক্ষা প্রতিবেদনে জন্য ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি অডিট কমিটি গঠন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মো. আসাদুজ্জামান। ৪ সদস্য বিশিস্ট কমিটির আহবায়ক করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার   মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে। এছাড়াও সদস্য সচিব করেন আহম্মদ মারুফ তালুকদার (দাতা সদস্য), শিক্ষক টি.এম.মনোয়ার হোসেন ও মো. মাহাবুব রহমান। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে অধ্যক্ষ ১১ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা, সাবেক সভাপতি  মোয়াজ্জেম হোসেন মিয়া ও অধ্যক্ষ যোগ সাজসে ৫ লক্ষ ২১ হাজার টাকা, অফিসহকারীসহ আরো ২/৩ জন মিলে মোট ১৯ লক্ষ ৯১ হাজার টাকার অর্থ আত্মসাতের সত্যতা মেলে। যাহার মধ্যে পিবিজিএসআই প্রকল্প থেকে ৫লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়। যাহার কোন কাজ না করে সম্পূর্ন টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার একটি সূত্র জানায়, মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজের নামে একই কাজের একাধিক খরচ দেখানো হয়েছে। অধ্যক্ষ  একই ভাউচার একাধিক বার  দেখানো, শিক্ষক হাজিরা খাতায় উপস্থিত থাকা সত্যেও ওইদিনে ঢাকাগমনের নামে যাতায়েত খচর এর টাকা আত্মসাৎ। এছাড়া মাদ্রাসার নিয়মিত আভ্যন্তরীণ বিল ভাউচারেও কারসাজি করে এ বিপুল পরিমান অর্থ অধ্যক্ষ, মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ও অফিস সহকারি মিলে সমন্বয় করে অর্থ হাতিয়ে নেন।  তবে অদ্যবধি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও মাদ্রাসার অডিট কমিটির আহবায়ক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন আমি তদন্ত করেছি এবং তাহার বিরুদ্ধে অনিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বরাবরে রিপোর্ট প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ভাণ্ডারিয়া শাহাবুদ্দিন কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আব্দুর রহিম খান  এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ভুলত্রুটি  থাকতে পারে তবে আমি দুর্নীতি করি নাই।

ভাণ্ডারিয়া শাহাবুদ্দিন কামিল মাদ্রাসার কমিটির সাবেক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মিয়া তিনি বলেন আমি এব্যাপারে কিছু জানি না। তবে অধ্যক্ষ সাহেব অনিয়ম ও দুনীতি করে থাকলে সেটা  আমার জানা নেই।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন










© All rights reserved © 2025 pirojpursomoy.com
Design By Rana