কাউখালী প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সহ জনবল সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ভেঙ্গে পড়ছে চিকিৎসা সেবা। ১৪ জন চিকিৎসকের বিপরীতে আছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহ২জন। চিকিৎসকের অভাবে প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সেবাগৃহীতারা।
প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকায় সেবা নিতে আসা রোগীদের চাপে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর লোকজন হতাশ হয় ফিরে যাচ্ছে। পাঁচটি ইউনিয়নের সাব সেন্টারে পাঁচজন মেডিকেল অফিসার থাকার কথা থাকলেও নেই একজনও। ইউনিয়ন সাব সেন্টার বাদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন মেডিকেল অফিসারের কথা থাকলে আছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহ দুইজন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ সময় একজন চিকিৎসক রোগীদের সেবা দিচ্ছে। রোগীদের প্রচন্ড ভিড়ে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ওই একজন চিকিৎসকের। একজন চিকিৎসকের পক্ষে কি সম্ভব আউটডোর, ইনডোর ও জরুরী বিভাগের কাজ করার পরও নাইট ডিউটি করা।উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সুব্রত কর্মকার আউটডোর, ইনডোর ও জরুরী বিভাগের কাজ একার পক্ষেই করতে হয়।
প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০০ থেকে ৩৫০ জন বিভিন্ন রোগীরা সেবা নিতে ভিড় করছে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। হাসপাতালে ভর্তি রোগী নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে ডাক্তার আসে না, শুধু নার্স আপারা আসে। দিনে একবার ডাক্তার আসলেও রাতের কোন ডাক্তার দেখা যায় না।
উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুব্রত কর্মকার বলেন, ডাক্তার সংকটের কারণে বেশিরভাগ সময় আমাকে দিনে ও রাতে একাই চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে হচ্ছে। ডিউটি করতে করতে নিজেই রোগী হওয়ার উপক্রম। আউটডোরে , আবার জরুরী বিভাগ ও রাতে নাইট ডিউটি করতে হবে। এটা কি কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব? তারপরও সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, প্রশাসনিক কাজে আমাকে ব্যস্ত থাকতে হয় ।তারপরও আউটডোরে রোগী দেখার চেষ্টা করি। চিকিৎসকসহ জনবল না থাকায় সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। সমস্যাগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ মতিউর রহমান জানান, কাউখালীতে চিকিৎসক সংকটে কথা আমার জানা আছে। আশা করি কিছুদিনের ভিতরেই সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।