শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন
ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ মামলার ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন পিরোজপুরের পুলিশ সুপার খাঁন মোহাম্মদ আবু নাসের।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১১ টায় মামলার যথাযথ তদন্তের লক্ষ্যে ভাণ্ডারিয়া উপজেলার বাইপাশ সড়কে পরিদর্শন কালে স্থানীয় বাসিন্দা ও সংবাদ কর্মীদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ঘটনায় জড়িত কেউই পার পাবে না। যারা ধর্ষণের সাথে জড়িত এবং যারা ভিডিও ধারণ ও প্রচারে ভূমিকা রেখেছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হয়েছে। উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক দ্রুত সময়ে জড়িতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া সার্কেল) মো: সাখাওয়াত হোসেন, ভাণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, ভাণ্ডারিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম মিলন সহ অন্যান্যরা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার ভান্ডারিয়া থানার হাসপাতাল মোড়ে ফারুকের দোকানের সামনে রাত ৩টার দিকে একটি বেঞ্চের ওপরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে রিকশাচালক মো. জাহিদ জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সেই ধর্ষণের ভিডিও সাংবাদিক মো. জিয়াউল ইসলাম জিহাদ ধারণ করে। পরবর্তীতে জিয়াউল ইসলাম জিহাদ ধর্ষক মো. জাহিদকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ দাবি করে। পরবর্তীতে জিহাদ নিজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওটি আপলোড করলে পুলিশের নজরে আসে। পরে রিকশাচালক মো. জাহিদ ও সাংবাদিক মো. জিয়াউল ইসলাম জিহাদ কে গ্রেফতার করে পুলিশ।