শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫০ অপরাহ্ন
ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় রহস্যজনকভাবে এক গৃহবধূর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত গৃহবধূর লাশ দোতালার টিনশেড ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ঘটনাটি আত্মহত্যা না পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এ নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা।
জানা যায়, ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভাণ্ডারিয়া পৌর শহরের দক্ষিণ ভাণ্ডারিয়া গ্রামে থেকে স্বর্ণা রানী দাস (২২) নামে এক সন্তানের জননীর লাশ উদ্ধার করা হয়। স্বর্ণার রানী দাস এর স্বামী আশুতোষ দাস সন্ধ্যায় তার শাশুড়ী মনি রানীকে জানায় আপনার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে হাসপাতালে আসেন। এ সংবাদ বলার পরে স্বামী আসুতোষ স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে গা ঢাকা দেন। ভাণ্ডারিয়া থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেন।
নিহত স্বর্ণা রানী দাস এর সাথে ৫ বছর পূর্বে আশুতোষ দাস বিবাহ হয়। নিহতর স্বর্ণার পিতার বাড়ি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায় পুটিয়াখালী গ্রামে। নিহত পরিবারের অভিযোগ, হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে অভিযুক্ত স্বামী।
আশুতোষ দাস এর মা বলেন তার পুত্র বধূ সন্ধ্যার পর দীর্ঘ সময় কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে পুত্রবধূকে খুঁজতে থাকেন। খোজাখুজির এক পর্যায়ে নিজ বসত ঘরের দোতলায় কাঠের আড়ার সাথে গলায় ওরনা পেচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তিনি প্রতিবেশীদের সহায়তায় পুত্রবধুকে ঘরে আড়া থেকে নামিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। কর্তব্যত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু বলে ঘোষনা করেন।
ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলে হত্যা না আত্মহত্যা এই মুণ্ডর্তে কিছইু বলা যাচ্ছে না পোস্ট মডেমের রির্পোট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।