তরিকুল ইসলাম শামীমঃ  বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ বাংলাদেশ-ভারত উপকূলের দিকে ক্রমশ ধেয়ে আসছে। সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে এরই মধ্যে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে পায়রা বন্দরে ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত রয়েছে।ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবিলার জন্য ভান্ডারিয়া ৫৪টি সাইক্লোন শেল্টার এবং যেসকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাকা ভবন রয়েছে সেগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর আগে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জরুরি সভায় জানানো হয়েছে, উপজেলায় সরকারি তালিকাভুক্ত ৫৪টি সাইক্লোন শেল্টারসহ মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই সব সাইক্লোন শেল্টারগুলো বসবাসযোগ্য করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছেন। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও রোভার স্কাউটের সদস্যরাও যেকোনো ধরনের সহায়তা করবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল আলম বলেন, আমরা সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। উপজেলা সকল ইউনিয়ন এবং পৌরসভায় মাইকের মাধ্যমে সচেতন করা হচ্ছে। উপজেলা উপকূলবর্তী হওয়ায় বেশি ঝুঁকিতে থাকায় আমরাও সজাগ রয়েছি। দুর্যোগ থেকে জানমাল রক্ষার্থে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ত্রান কার্যক্রম চালানোর জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী মজুদ রয়েছে। এছাড়া একটি কন্ট্রলরুম খোলা হয়েছে। কন্ট্রলরুমের নম্বর ০১৭১৪৩২৯০১৪।