মোঃজিয়াদুল হক কাউখালী(পিরোজপুর)প্রতিনিধিঃ
বর্তমানে মহামারী করোনা ভাইরাসের সাথে সম্মুখ যুদ্ধ চলছে বাংলাদেশের। দেশের সাধারন জনগন কৃষক, দিনমুজুর, শ্রমিক, ব্যাবসায়ী, হতোদরিদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা ক্ষুদা, দারিদ্র্যতা, কর্মহীনতার মধ্যদিয়ে নিদারুণ চাপা কষ্ট নিয়ে প্রতিটি দিন পার করছে। ঠিক সেই সময় ঘূর্নিঝড় আম্ফানের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে পিরোজপুর জেলার কাউখালী অঞ্চল, এ যেনো মরার উপরে খরার ঘা। বুধবার (২০মে) সকাল থেকে সারাদিন এ অঞ্চলে বিশেষজ্ঞদের বলামতে দমকা হাওয়া ও থেমে থেমে বৃষ্টিতে ঘুর্নিঝড় আম্ফানের আগমন লক্ষ করা যায়। সন্ধ্যার পর থেকে বাতাসের গতি বৃদ্ধি পায় এবং তার সাথে হালকা বৃষ্টি হতে থাকে। তবে রাত একটু ভারী হতেই আসল রূপ ধারন করে আম্ফান এবং সমস্ত রাত তান্ডব চালায়। অন্যদিকে ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া মাত্রই প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে প্রস্তুত করা হয় দীর্ঘদিন পড়েথাকা আশ্রয় কেন্দ্রগুলো। সেখানে আশ্রয় নেওয়া গ্রামের মানুষদের মাঝে করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা থাকতে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাফস, প্রদান করা হয় এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সকলকে নিরাপদে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২১মে) সকালে থানাধীন বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ঘুরে দেখা যায়, অ-সময়ের ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের এক রাতের তান্ডবে গ্রামঅঞ্চলে মানুষের কাঁচা ঘর-বাড়ী, গাছ-গাছালী, দোকান-পাট, রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে, মাছের ঘের প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া আরও দেখা গেছে, অন্যদিকে এই আম্ফানের তান্ডবে উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসময় উপজেলার উজিয়াল খান গ্রামের মৃতঃনাজেম আলী সরদারের ছেলে মোঃজিয়াউদ্দিন সরদারে বসত ঘরের উপরে গাছ পরে টিনের চাল ভেঙে ঘরের মালামালসহ কম্পিউটার ভেঙে যায়,এতে তার ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃনজরুল ইসলাম জানান, ঘুর্নিঝড় আম্ফানের তান্ডবে গ্রাম গঞ্জের মানুষের কাঁচাঘর, টিনের চাল, দোকান পাট গাছ গাছালী ভেঙ্গে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া বিদ্যুৎ লাইনেরও অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমরা থানার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে সাধারন মানুষের পাশে গিয়ে দাড়াচ্ছি।