মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
Best Gender Hookup Websites | FreeHookupsSites পিরোজপুরে মাদক মামলায় ২ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড পিরোজপুরে ২৫ টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার মালিকের নিকট হস্তান্তর করলো পুলিশ সুপার বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা দলীয় কার্যক্রমে অংশ নেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন পিরোজপুর সরকারী মহিলা কলেজে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ প্রোগ্রামের অনুমোদন পাওয়ায় আনন্দে র‌্যালী বিদ্যালয়ে একদিনের বেশি আসেনা প্রধান শিক্ষক পবিত্র কুমার মন্ডল, ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ কাউখালীতে কাজী হারুন অর রশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতী শিক্ষার্থীরা জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান করছে ভান্ডারিয়া স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী পলাতক ভান্ডারিয়ায় প্রতিবন্ধী যুবকের লাশ উদ্ধার ইন্দুরকানীতে আড়াই কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কাউখালীতে কায়েদ ছাহেব হুজুরের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত Get prepared to explore the planet of naughty dating sites Get to know lonely ladies in ireland – find your perfect match today ভান্ডারিয়ায় পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে গণশুনানি ভান্ডারিয়ায় ব্যবসায়ীর কান কামড়ে বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ How Exactly To Switch Your Own Situationship Into An Union ভান্ডারিয়ায় দুর্নীতির দায়ে ইউপি সদস্য বরখাস্ত ভান্ডারিয়ায় যুবক হত্যায় দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ভান্ডারিয়ায় কীটনাশক পানে তরুনীর আত্মহত্যা ভান্ডারিয়ায় প্রধান অতিথির চেয়ার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের টানাটানি, তাফসির মাহফিল স্থগিত! প্রতিবাদে সকল দোকানপাট বন্ধ ঘোষনা
প্রেমিক ও বন্ধুদের গণধর্ষণে মৃত্যু হয় লিপির, গ্রেফতার ৫

প্রেমিক ও বন্ধুদের গণধর্ষণে মৃত্যু হয় লিপির, গ্রেফতার ৫

ময়মনসিংহের ভালুকায় গণধর্ষণের পর লিপি আক্তার নামে এক মিল শ্রমিককে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার (২৩ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ভালুকা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন। গত ১৯ মার্চ বিকেলে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর পূর্ব পাশে বিলাইজোরা খালের সেতুর পাশে থেকে লিপি আক্তারের অর্ধগলিত লা’শ অজ্ঞাত অবস্থায় উদ্ধার করেছিলো পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রকিবুল ইসলাম (১৯), হৃদয় মিয়া (১৮), জয়নাল (২০), মামুন (১৮) ও রাব্বি (২২)। এদের মধ্যে হৃদয়ের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার ধোবাউড়া উপজেলার হরিণধরা গ্রামে। তিনি উপজেলার জামিরদিয়া এলাকায় ভাড়া থাকেন। এ ছাড়া অন্যদের বাড়ি ভালুকা উপজেলায়। পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, গত ১৯ মার্চ বিকেলে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর পূর্ব পাশে বিলাইজোরা খালের সেতুর পাশে থেকে একটি অর্ধগলিত নারীর অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন নূর হোসেন নামের এক ব্যক্তি লাশ দেখে শনাক্ত করেন, এটি তার মেয়ে লিপি আক্তার। নূর হোসেনের বাড়ি উপজেলার কংশেকুল গ্রামে। তিনি পরিবার নিয়ে জামিরদিয়া এলাকায় থাকেন। লিপি আক্তার পাশের শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার এলাকায় ‘এএ ইয়ার্ন’ নামের একটি কারখানায় চাকরি করতেন। গত ১৫ মার্চ লিপি আক্তার নিখোঁজ হন। ১৭ মার্চ গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন লিপির বাবা নূর হোসেন। ২০ মার্চ (লিপির লাশ শনাক্তের দিন) নূর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

৬১ দিন পর গত বৃহস্পতিবার এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে রকিবুল ইসলাম, হৃদয় মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জয়নাল, মামুন ও রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়। বিজ্ঞ আদালতে রকিবুল ও হৃদয় ঘটনার সাথে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার এসআই ইকবাল হোসেন জানান, লিপি আক্তারের লাশ হওয়ার ঘটনা বিস্তারিত স্বীকার করেছেন রকিবুল ও হৃদয়। রকিবুলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে লিপি আক্তারের। পরে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপর লিপি বিয়ের জন্য চাপ দেয় রকিবুলকে। কিন্তু রকিবুল তাতে রাজি না হয়ে কিছুটা যোগাযোগ কমিয়ে দেয় লিপির সাথে। গত ১৪ মার্চ রকিবুল আরো কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে লিপিকে গণধর্ষণের পরিকল্পনা করে। সেই মোতাবেক ১৫ মার্চ রাত ১০টায় লিপির কারখানা ছুটি শেষে ভালুকা উপজেলার কড়ুইতলা মোড়ের উত্তর পাশে একটি গভীর বাগানে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে লিপির হাত বেঁধে রাব্বি, মামুন, রকিবুল, আশিক, হৃদয় ও জয়নাল ধর্ষণ করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই লিপির মৃত্যু হয়। পরের দিন ১৬ মার্চ রাত ১০টায় লিপির লাশ ওই স্থানে ফেলে রেখে যায় এই আসামিরা। এ বিষয়ে মামলা তদারকি কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম বলেন, ‘লিপি হত্যামামলাটি ছিল ক্লো-লেস। রহস্য উদঘাটনে বেশ বেগ পেতে হতে হয়েছে। কারণ, ওই মেয়ের পরিবারের অন্য সদস্যরা বাক-প্রতিবন্ধী। তারা কোনো ধরণের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে পারেনি। মামলার রহস্য উদঘাটন করতে এক দিকে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যদিকে তদন্ত কর্মকর্তাকে ছদ্মবেশ ধারণ করে আসামিদেরকে শনাক্ত করতে হয়েছে।’ সূত্র: নয়াদিগন্ত

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন













© All rights reserved © 2019 pirojpursomoy.com
Design By Rana