আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন।

৭৭ বছর বয়সী সাহারা খাতুন জ্বর, অ্যালার্জিসহ বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে গত ২ জুন রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে গত ১৯ জুন আইসিইউয়ে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। কিন্তু শারীরিক পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৬ জুলাই তাঁকে ব্যাংককে নেওয়া হয়। ভর্তি করা হয় বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে। সেখানেই গত রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।

সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক শোকবার্তায় বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে সাহারা খাতুন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আজীবন কাজ করে গেছেন এবং দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে আইনিসহ সব সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন।’ শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতি একজন দক্ষ নারী নেত্রী এবং সৎ জননেতাকে হারাল। আমি হারালাম এক পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে।’

প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য। শেখ হাসিনার ২০০৯ সালের সরকারে প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তিনি। পরে দায়িত্ব পালন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে।