শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫০ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খামারিরা চিন্তিত কুরবানির পশু নিয়ে।কারণ এবার করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে কুরবানির পশুর মূল্য হাঁকায় কম অর্থাৎ দাম বলে কম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন খামারে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত প্রায় লক্ষাধিক গবাদি পশু।ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার খামারী দিন রাত প্রাকৃতিক উপায়ে পশু হৃষ্টপুষ্ট করছে। তবে করোনার সংকটকালে কুরবানির পশুর ন্যায্য মূল্য নিয়ে সন্দ্বিহান খামারীরা।
দেখা যায়, প্রতিটি খামারে ছোট, মাঝারি ও বড় সব ধরণের কোরবানির পশু রয়েছে। খামারে থাকা পশু দিয়েই মিটবে জেলার ৯৫ ভাগ চাহিদা। তবে সার্বিক পরিস্থিতিতে কোরবানির পশুর ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিয়ে খামারিদের মধ্যে চলছে আলোচনা -সমালোচনা। রয়েছে তাদের মধ্যে শংশয়ও।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, খামারিদের লাভের বিষয়টি মাথায় রেখে অনলাইনে কেনাবেচার পাশাপাশি কম খরচে পশু মোটা তাজা করণের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
কথা হয় খামার মালিক হোসাইন মিয়া ও তসলিম উদ্দিনের সাথে। তারা বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের কারনে আমাদের এলাকায় অনেক খামারের আকার ছোট করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু এবার পশুখাদ্যের দাম বিগত বছর থেকে অনেক বাড়তি ছিল। এতে করে খামারের খরচ গত বছরের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। আমরা লাভের আশায় দিন-রাত কাজ করলেও গত ২/৩ বছরের তুলনায় এবার ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবার আশংকা প্রকাশ করছি ।তবে এবার প্রতিবেশী দেশ থেকে গরু না এলে আমাদের ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পারবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা এবিএম সাইফুজ্জামান বলেন, জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে খামারীদের ব্যয় কমানোর জন্য জেলার ৯ টি উপজেলার প্রত্যেকটিতে ৫০ জন করে ৪৫০ জন খামারিকে কম খরচে গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্ট করণের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
কোরবানির পশু বিপননের জন্য এসব প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত খামারিদের নিয়ে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে অনলাইনে গবাদি পশু কেনা বেচা হবে।