শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৯ অপরাহ্ন
নাজমুল আলম নবীনঃ
গোমুত্র দিয়ে হাড়ভাঙার চিকিৎসা! কবিরাজ রীতিমতো চিকিৎসালয় বানিয়ে রেখেছিলো। রোগী ভর্তি করে তাদেরকে ডাক্তারের মতো চিকিৎসা দিতো। এলাকার মানুষজনকে জিজ্ঞেস করলে তারা বললেন তারা জানতেন না এমন অপচিকিৎসা এখানে চলে। ভাণ্ডারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ভাণ্ডারিয়ায় আজ এমন একজন ভুয়া ডাক্তারকে ধরা হয়। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব ৮) এর সহয়াতায় পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো ইয়াসিন খন্দকার এর নেতৃত্বে করা মোবাইল কোর্টে তাকে সাজা প্রদান করা হয়, এসময় ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম এবং ডা এএইচএম ফাহাদ উপস্থিত ছিলেন। এরকম অপকর্মের তথ্য দেয়া হলে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা প্রশাসন আরো অভিযান পরিচালনা করবে। তবে চোখ বন্ধ করে রাখলে নিজেদেরই ক্ষতি হবে বেশী।
গত কয়েকদিন আগে ফেইসবুকে একটা বাচ্চা ছেলের ছবি ভাসতে থাকে। যে এরকমই একটা কবিরাজের অপচিকিৎসার ফলে নিজের ডান হাতটি হারিয়েছে। ঝাপ বাঁধার নামে এরা যেসব চিকিৎসা দেয় তাতে মানুষের জীবন সঙ্কটাপন্ন হয়।
একজন ডাক্তারকে বছরের পর বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে পড়ালেখা করে ডাক্তার হতে হয়। ইন্টার্নশিপ করতে হয়, উচ্চতর ডিগ্রি নিতে হয় তারপর তারা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে নিজেদের দাবি করতে পারেন। আর এরা কবিরাজ সাইনবোর্ড লাগিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো বিশেষজ্ঞের চিকিৎসা দেন এবং অজ্ঞ রোগীরাও তাদের কাছে যান। দয়া করে এদের কাছে কেউ চিকিৎসা নিতে যাবেন না, পরিচিত কাউকে পাঠাবেনও না।
লেখক: ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)