শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতাঃ
সরাইলে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে একটি কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের ৪টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
সুত্রে প্রকাশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কাচারিপাড়ায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চারটি মূল্যবান আকাশমনি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গাছগুলোতে পাখি বসে না, এমন অজুহাতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে মূল্যবান গাছগুলো কাটা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সরাইল উপজেলা প্রশাসনপাড়ায় ‘সরাইল একাডেমি’ নামে কিন্ডারগার্টেন স্কুল মাঠের চারটি আকাশমণি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কাটাগাছ ও ডালপালা উপজেলা মৎস্য অফিসের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা আক্ষেপ করে বলেন, গাছগুলোর বয়স প্রায় তিন বছর। পাখি বসে না, এ অজুহাতে চারটি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। বাকি দু’টি গাছ আমাদের অনুরোধে কাটা হয়নি। এই গাছগুলোর ছায়ায় শিশু শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতো।
সরাইল একাডেমি’র প্রধান শিক্ষক নাসুহা বেগম বলেন, সরাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খান স্যারের মৌখিক নির্দেশে গত ১৬ আগস্ট বিদ্যালয় মাঠের আকাশমনি গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। তিনি আমাদের স্কুলের পরিচালক। তাঁর তদারকিতেই এই স্কুল পরিচালনা হয়। এ কাটা গাছগুলো স্কুলের কোনো কাজে আসবে না বলে প্রধান শিক্ষক মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খান বলেন, এ স্কুলে বছর দেড়েক আগে এই গাছগুলো আমরাই লাগিয়ে ছিলাম। এই গাছে পাখি বসে না, তাই গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। ছোট ছোট চারটি গাছ, এগুলো তেমন মূল্যবান নয়। এই গাছগুলো কাটার পর সেখানে কিছু ফলজ গাছ রোপন করা হয়েছে। বিষয়টি ইউএনও স্যার জানেন। উনার (ইউএনও) সঙ্গে পরামর্শ করেই গাছগুলো কাটা হয়েছে।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সরাইল একাডেমি কিন্ডারগার্টেনের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এ এস এম মোসা বলেন, বিষয়টি আমি জানি। সেই গাছগুলো কেটে সেখানে নতুনভাবে কিছু গাছ লাগানো হয়েছে। বিদ্যালয়টিতে আমাদের জায়গা কম, বৃক্ষ রোপনের সুবিধার্থে এটি করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় লোকজন অনেকে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে এক কোটি বৃক্ষের চারা রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। তারপর থেকে সারাদেশের ন্যায় এখানে জেলা ও উপজেলায় সর্বত্র বৃক্ষ রোপন চলছে। এই সময়ে খোদ প্রশাসনপাড়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি জায়গা থেকে এভাবে গাছ কর্তন মোটেও উচিত হয়নি।
তারা এ বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।