শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা
আখাউড়ায় পাওনা টাকা নিয়ে মারামারিতে ২ জন আহত হয়েছেন। এতে এক বৃদ্ধা ও রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার ২৯ আগষ্ট রাতে আখাউড়ার মোগড়া ইউনিয়নের শান্তিনগর গ্রামের জসিম মৃধার বাড়িতে।
আহতরা হলেন মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শান্তিনগর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের স্ত্রী মোছাম্মত ফুলবর নেসা এবং তার ছেলে সুমন মিয়া।
আহতদের আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে ফুলবর নেসার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সদর হাসপাতলে প্রেরণ করেন।
এঘটনায় আখাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহতের পরিবার।
আহত সুমন মিয়া জানান,শান্তিনগর গ্রামের জসিম মৃধার(আমার শ্বশুর)গত ৪ বছর আগে ছেলের চাকরির জন্য টাকার প্রয়োজন হলে সে আমার পরিবারের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা ধার হিসেবে নেয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও আমার শ্বশুর ধার নেওয়া টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়।এমতাবস্থায় বাড়ির লোকজন তার কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাইতে যায়। উল্লেখ্য যে,এপর্যন্ত বিচার শালিশের মাধ্যমে মাত্র এক লাখ ৭০ হাজার টাকা তারা ফেরত দিয়েছে, কিন্তু বাকী দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা ফেরত দিতে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করতে থাকে জসিম মৃধা। তিনি আরো জানান, গত শনিবার আমার শ্বশুর বাড়িতে পারিবারিক শালিশে পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্ত্রী রিফাত সুলতানা,আলী হাশেম,আলী আক্কাস,জসিম মৃধা, ফেরদৌসা এবং জেসমিন আক্তার আমাদের উপর মারপিট শুরু করে । এসময় বাধা দিতে গেলে আমাকে ও আমার বৃদ্ধ মাকে মারধর করে আহত করে। এ বিষয়ে জসিম মৃধার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার মেয়ে এবং মেয়ের জামাই তার ব্যাবসায়ীক কাজে লাগানোর জন্য বিভিন্ন এনজিও ব্যাংক থেকে কয়েক লক্ষ টাকা উত্তোলন করে এবং তার মায়ের গহনা ও বিক্রি করে ।কিন্ত তারা এখন আমার পরিবারের উপর সেই টাকার ভার দিচ্ছে। এই বিষয়ে মনিয়ন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.কামাল ভূঁইয়া জানান, আমার ইউনিয়নের মহিলা সংরক্ষিত ৭,৮.৯ নং ওয়ার্ডে সদস্য রোকেয়া ও ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার নাজিরের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি।
ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচারের আওতায় আনা হবে।