শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:২৮ অপরাহ্ন
ভাণ্ডারিয়া মজিদা বেগম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ভাণ্ডারিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি ফারুকুজ্জামান (সকলের প্রিয় মন্টুস্যার) স্যার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি বলে দাবি করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
তার ভাই মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, তার বড় ভাই ফারুকুজ্জামান বেশ কিছুদিন টাইফয়েড জ্বরে ভুগছিলেন। ১৬ জুন মঙ্গলবার অসুস্থ বোধ করলে ভোরে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ করোনা আতঙ্কে নুন্যতম চিকিৎসা না করে বরিশালে চিকিৎসা করানোর নির্দেশ দেয়। এরপরে তারা বাধ্য হয়ে তাকে বাসায় নিয়ে আসেন এবং পরবতীর্তে বিনা চিকিৎসায় মারা যান। তিনি আরও জানান, ওইদিনই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতিনিধিগণ মন্টু স্যারসহ তার সঙ্গে একত্রে বসবাস করা তাদের পরিবারের সকল সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল শোবাচিম হাসপাতালে পাঠায় এবং সেখান থেকে মন্টু স্যারের স্ত্রী, মাধ্যমিক স্কুলে পড়–য়া মেয়েসহ সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে আথাৎ তার পরিবারে কারও করোনা কোভিড—১৯ আক্রান্ত ছিলনা । ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তৎকালিন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পপ কর্মকর্তা ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম জানান, মন্টু স্যারের মারা যাওয়ার সংবাদ বিলম্বে পেঁৗছানোর কারণে নমুনা সংগ্রহে একট বিলম্ব হয়, তবে তার পরিবারে সদস্যদের কেহ করোনা আক্রান্ত ছিল না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাশি বা সর্দির লক্ষণ দেখে বোঝা সম্ভব নয়, তা সাধারণ ঠাণ্ডা লাগা না করোনাভাইরাস। তবে করোনা হলে জ্বর বাড়তে থাকে দ্রুত। এছাড়া কাশি, ক্লান্তি, গায়ে ব্যথার পাশাপাশি কখনও কখনও বমিও হতে পারে। দু’ক্ষেত্রেই নিউমোনিয়াও দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ি, প্রতি বছর গোটা বিশ্বে ৩০-৫০ লাখ মানুষ ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হন। এদের মধ্যে ২ লাখ ৯০ হাজার থেকে ৬ লাখ ৫০ হাজারের মৃত্যু হয় শ্বাস প্রশ্বাস সংক্রান্ত অসুখ থেকে। ঘরে থেকে বিশ্রাম নিয়ে বা ওষুধ খেয়ে এই সব সমস্যা কমে যায়। কখনও আবার ২ সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যায় নিজে থেকেই। কিন্তু করোনা এমনই এক ভাইরাস যার নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ এখনও বের হয়নি। এ কারণে এটি চিন্তিত করে তুলেছে গোটা বিশ্বকে। সাধারণ জ্বর, ঠাণ্ডা লাগার থেকে করোনা অনেক বেশি বিপজ্জনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে অজানা বিপদ আখ্যা দিয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের বেশিরভাগের শরীরে জ্বর দেখা দেয়। কারও এর সঙ্গে থাকে শুকনো কাশি, ক্লান্তিভাব, পেশিতে ব্যথা থাকে।
সুত্র ডেইলি বাংলাদেশ অনলাইন