শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৪ অপরাহ্ন
রাবেয়া খাতুন। বয়স ৮৫। থাকেন ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলি গৌরনগর ইউনিয়নের পাটওয়ারীর হাট এলাকায়। স্বামী হেজন আলী। মারা গেছেন প্রায় ৪৮ বছর আগে। এরপর থেকে মানুষের কাছে হাত পেতেই কোনোমতে এক মেয়েকে নিয়ে সংসার চলেছে রাবেয়া খাতুনের। ত্রিশ বছর আগে সে মেয়েকেও বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। মেয়ে এখন স্বামী-সন্তান নিয়ে থাকেন অন্যত্র।তবে হতভাগা রাবেয়া খাতুনের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভোগও বেড়েছে। যে বেলা মানুষের সহযোগিতা জোটে সে বেলাই খেতে পারেন তিনি। শরীরটাও ভালো নেই তার। প্রেসার, বাত-ব্যথা আর এলার্জি বাসা বেঁধেছে রাবেয়া খাতুনের শরীরে। এর জন্য ভালো কোনো চিকিৎসাও করাতে পারেননি তিনি। মানুষের দেয়া সহযোগিতায় পল্লী চিকিৎসকের কাছ থেকে কিছু ওষুধ খেয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করছেন প্রতিনিয়ত। তবে বয়স ৮৫ হলেও সরকারি কোনো সহযোগিতা জোটেনি রাবেয়া খাতুনের ভাগ্যে। বঞ্চিত হয়েছেন বয়স্ক-বিধবা ভাতা থেকেও। এমনকি মাথা গোঁজার শেষ সম্বল বসতঘরটিও নড়বড়ে। বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে। এক কথায় বলতে গেলে সত্যিই একজন হতভাগা নারী রাবেয়া খাতুন। বঞ্চিত হচ্ছেন সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে। রাবেয়া খাতুন বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই মানুষের কাছে ভিক্ষা করে চলছি। এতো বয়স হয়েছে তবুও বয়স্ক-বিধবা কোনো ভাতাই পাইনি। আর কত বয়স হলে ভাতা পাবো তাও জানি না। বয়স হয়েছে, ‘ঠিকমতো চলতেও পারি না। তাই সরকারের কাছে দাবি করছি একটি বয়স্ক অথবা বিধবা ভাতার ব্যবস্থা করার।’
সুত্র মানবজমিন