শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:০৪ অপরাহ্ন
জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সবচেয়ে বেশী বিদ্যুতায়িত উপজোর নাম আশুগঞ্জ। অথচ সেই আশুগঞ্জের একটি অবহেলিত এলাকার নাম চরসোনারামপুর।
উপজেলা সদরের পাশেই মেঘনার বুকে জেগে উঠা একটি চরের নাম চরসোনারামপুর।এখানে সরকারের আদমশুমারী অনুযায়ী ছয় হাজারের ও বেশি জনগণ রয়েছে।আর তাদেরকে বিদ্যুতের আলোর সুবিধা না দিয়ে আশুগঞ্জ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ এখানে কবে নাগাদ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানে না স্থানীয় বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার(২৭আগষ্ট) জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে এক ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল, আশুগঞ্জ ও নবীনগর উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা ঘোষণা করেন। এটি প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের প্রতারণা বলে মনে করছেন অনেকেই।
এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে,বুকের উপর জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের বিশাল টাওয়ার। দিন শেষে তাতে জ্বলে উঠে লাল আলোর সংকেত। এক কিলোমিটারের কম দুরত্বে দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। দিনের শেষে সুর্যের আলো মিলিয়ে যাবার সাথে সাথে এক-দেড় কিলোমিটার ব্যাসাধ্যের মধ্যে আশুগঞ্জ-ভৈরবে জ্বলে উঠে হাজারো বিজলী বাতি।
কিন্ত এ এসব বিদ্যুতের ঝলকানিতে ও আশুগঞ্জের চর সোনারামপুরের প্রায় ৬ হাজারেরও বেশী জনগোষ্ঠির কাছে ছিলো কেবল স্বপ্ন। নানা কারনে চরবাসী বিদ্যুতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। এ কারনে তাদের মনে জমেছিল এক নদী কষ্ট। তবে তাদের সে কষ্ট লাঘব হতে চলছে শীঘ্রই। বিদ্যুৎ বিভাগের দাবি, চলতি মুজিব শতবর্ষে-ই তারা পেতে যাচ্ছে বিদ্যুৎ সংযোগ। বর্তমান সরকারের এ জনকল্যাণমুখী উদ্যোগের ফলে চরে বসবাসকারি জনগোষ্টির মনে বইছে আনন্দের বন্যা।
জানা গেছে, আশুগঞ্জ বন্দর থেকে সর্বোচ্চ আধা কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে মেঘনা নদীর বুকে জেগে উঠা চরের নাম চরসোনারামপুর। বৃটিশ আমলে চরটি শাসক-পুজিপতিদের প্রমোদ কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসলেও স্বাধীনতার পর হতে বর্তমানে এখানে বসবাস করেন অল্প আয়ের প্রায় দুই হাজার মৎসজীবী পরিবার। অবশ্য বর্তমানে লোকসংখ্যা দ্বিগুনের ও বেশী। চরটির পুর্বে আশুগঞ্জ নদীবন্দর ও বিদ্যুৎ নগরী আশুগঞ্জ, পশ্চিমে কিশোরগঞ্জের ভৈরব, দক্ষিণে মাথার উপর দিয়ে উভয় জনপদের সংযোগকারী সৈয়দ নজরুল সেতু এবং উত্তরে চরের বুক ছিড়ে রয়েছে আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ ২৩০ কেভি জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিশাল টাওয়ার।
পশ্চিম আকাশে দিনের আলো মিলিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে চরের সর্বোচ্চ এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে জ্বলে উঠে হাজার হাজার বৈদ্যুতিক বাতি। হাতের কাছে ও চোখের সামনে বিদ্যুৎ কেন্দ্র, তাদের বুকের উপর রয়েছে হাইগ্রীড বৈদ্যুতিক টাওয়ার। এত সব আলোর জ্বলকানি থাকা সত্বেও অর্থনৈতিকসহ কৌশলগত অসুবিধার কারনে এখন ও বিদ্যুতের সুবিধা পায়নি চরবাসী। ফলে তাদেরকে আলোর কষ্ট বুকে নিয়েই জীবন-যাপন করতে হয়েছিল। জমা পড়ে ছিল হৃদয়ে তাদের এক সাগর কষ্ট।
তবে বর্তমান সরকারের ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এ কর্মসুচির আওতায় ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনায় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে চরে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের কাজ শুরু হয়েছে। সরেজমিনে সোনারামপুর চরে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প কুমিল্লা জোনের আওতায় স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের তত্বাবধনে আশুগঞ্জ ৩৩ কেভি সাবস্টেশন থেকে মেঘনা নদীর পাড় বিওসি ঘাট পর্যন্ত ও চরসোনারামপুরে স্টীলের বিদ্যুতের খুটি বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের আশা, সাবমেরিন কেবল আসার পর পর-ই মেঘনা নদীর নিচ দিয়ে সোনারামপুর চরে ১১ কেভি বিদ্যুৎ পৌছানো হবে। স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের দাবী, চরে প্রাথমিক ভাবে গ্রাহক সংখ্যা কম হলেও আগামী ২০ বছরের মধ্যে এ চরে শিল্পসহ বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কাজের প্রয়োজনে বিদ্যুতের চাহিদার ভিত্তিতে পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। চলতি মুজিব শতবর্ষে-ই চরসোনারামপুর বাসী বিদ্যুৎ সংযোগ পাবে বলে আশা বিদ্যুৎ বিভাগের। এদিকে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বিদ্যুতের আলোয় উজ্বলিত হবে অন্ধকার এ খুশীর খবরে চরবাসীর মাঝে ও বইছে আনন্দের বন্যা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ চরসোনারামপুরবাসীরা ও এজন্য বর্তমান সরকারের এ উদ্যোগকে ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানান।
এব্যাপারে পংকজ ভট্টাচায্য, ননীগোপাল দাস, সাবানন্দ দাস, ভারতী রানী বর্মনসহ বেশ কয়েকজন চরবাসী চরে বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্যোগ নেয়ায় আনন্দ প্রকাশ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
চরের বাসিন্দাদের এ রকম সুখবরে এলাকার লোকজন বিদ্যুৎ বিভাগের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বিদুৎ বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এতে করে চরে বসবাসকারি নিন্ম আয়ের জেলেদের বিকল্প অনেক কর্মসংস্থান তৈরি হবে। ফলে তাদের জীবনযাত্রা ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।
এব্যাপারে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ জাফর আহমেদ প্রকল্পটির সাথে উতপ্রোতভাবে জড়িত জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নির্দেশনায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন (কুমিল্লা জোন) প্রকল্পের আওতায় চরে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শুরু হয়েছে। খুটি বসানোর কাজ শেষ। সাবমেরিন ক্যাবল এলে-ই বাকি কাজ শেষ করা হবে। চলতি মুজিব শতবর্ষেই চরবাসী বিদ্যুৎ সংযোগ পাবে এমনটি আশা করে তিনি আরো বলেন, আগামী ২০ বছরের বিদ্যুতের চাহিদা নিয়েই এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বিদ্যুতের অভাবে চরসোনারামপুরের শিক্ষার্থীরা মোমবাতি ও কুপির আলোর সাহায্যে তাদের
পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে। অবশ্য কারো কারো ঘরে নিজস্ব অর্থায়নে কেউবা সরকারী সহায়তায় আবার কেউবা বেসরকারি সাহায্যে সৌর বিদ্যুতের আলো ব্যবহার করছে।
শতভাগ বিদ্যুতায়িত ঘোষনা করার কারনে স্থানীয় লোকজন বলেন, আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে হতাশাগ্রস্ত ও ভোগান্তিতে রয়েছে চরে বসবাসকারি লোকজন। অন্যদিকে এই ঘটনাটিকে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটি চক্র তথ্য গোপন করেছে বলে ও অভিযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের।
সরেজমিনে গিয়ে চরসোনারামপুর এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর বুকে জেগে উঠা চর সোনারামপুরের বর্তমান জনসংখ্যা ৬ হাজারের ও বেশী (৬৪২২)। এদের বেশীর ভাগ স্বল্প আয়ের মানুষ।
তাদের বেশীর ভাগ মানুষ নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরার কাজ করে থাকে। আর অল্প সংখ্যক মানুষ দিন মজুরির কাজ করে থাকে।
চরের পাশেই মেঘনার তীর ঘেষে রয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, যার নাম আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। এ চরের পাশ দিয়েই আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ ২৩০ কেভি জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিশাল টাওয়ার রয়েছে।হাতের কাছে এতসব বিদ্যুত পাবার মত সমস্ত ব্যবস্থা থাকা সত্বেও নানাবিধ কারণে তা বারবার পিছিয়ে পড়ছে। যে কারনে চরসোনারামপুর বাসিরা দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যুতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে । তবে বর্তমান সরকারের ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এ কর্মসুচির আওতায় ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনায় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে চলতি মুজিব শতবর্ষেই চরসোনারামপুরে বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্যোগ নেয়া হয়। কয়েক মাস যাবত কাজ করে ওই চরের চারপাশে বিদ্যুতের খুঁটি ও লাগানো হয়েছে। তবে সাবমেরিন ক্যাবল ও অন্যান্য অনেক আনুষাঙ্গিক কাজ বাকি থাকায় গ্রাহক পর্যায়ে এখনো বিদ্যুত সংযোগ দেয়া সম্ভব হয়ে উঠেনী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার(২৭আগষ্ট) জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে এক ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল, আশুগঞ্জ ও নবীনগর উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা ঘোষণা করেছেন।
জানা গেছে, বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প কুমিল্লা জোনের আওতায় চর সোনারামপুরে বিদ্যুৎ দেয়ার প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। তবে সাবমেরিন ক্যাবল কবে আসবেে আর কবে নাগাদ চরবাসী বিদ্যুৎ পাবে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারেননি আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ কর্তৃপক্ষ।
এ অবস্থার মাঝে বৃহস্পতিবার (২৭ আগষ্ট) প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে আশুগঞ্জ, নবীনগর ও সরাইল উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক হায়াৎ উদ দৌলা খান, পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ শামসুজ্জামানসহ বিদ্যুৎ বিভাগ ও সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। কিছু স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে এ বিষয়টি প্রচারিত ও হয়।
এতে করে চর সোনারামপুরে বসবাসকারি জনগণের মাঝে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা মনে করছেন দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছায় তারা বিদ্যুতের সুবিধা পেতে যাচ্ছিল। এখন যেহেতু বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়েই শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা ঘোষণা করা হয়েছে, তাই প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি নিয়ে আর ভাববেন না। এদিকে এ ঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ও ক্ষুব্ধ। তারা মনে করছেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে এ বিষয়ে তথ্য গোপন করে এই কাজটি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তারা প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
চর সোনারামপুরে বসবাসকারি শিপন দাস, পংকজ চক্রবর্তীসহ আরো অনেকেই বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চরে বিদ্যুৎ পাওয়ার আশায় ছিলেন। কিন্ত তাদের মাঝে বিদ্যুত পৌঁছে না দিয়েই তাদেরকে বাদ দিয়ে আশুগঞ্জ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা ঘোষনা হিসেবে ঘোষনা করায় হতাশ তারা। এখন কবে তারা বিদ্যুৎ পাবে বা আদৌ বিদ্যুত পাবে কিনা এ নিয়ে তারা শঙ্কিত।
আশুগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীকবৃন্দ ও চরসোনারামপুরের বাসিন্দারা বলেন, চরসোনারামপুরে বিদ্যুৎ না দিয়ে আশুগঞ্জ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা ঘোষণা করার মানে হল, চরসোনারামপুর বাসীর সাথে বিদ্যুৎ বিভাগের এক ধরনের প্রতারণা। তারা যত দ্রুত সম্ভব চরসোনারামপুরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার দাবি জানান।
স্থানীয় লোকজন বলেন, আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে তথ্য গোপন করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এমন কাজটি করেছে। সুনির্দিষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনার ও দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সুলতান মাহমুদ বলেন, চর সোনারামপুরে বিদ্যুৎ দেয়ার সকল কাজ বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সাবমেরিন ক্যাবল এলেই চরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে। তবে তিনি কবেনাগাদ সাবমেরিন ক্যাবল আসতে পারে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারেননি ।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, আশুগঞ্জের চর সোনারামপুর এখন ও পর্যন্ত বিদ্যুবিহীন রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে এবং বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।