শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন
সোনাগাজী প্রতিনিধি :- সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের চরলামছি গ্রামের লোকমান ডাক্তার বাড়ীতে, আদালত কর্তৃক জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা ও গ্রাম্য শালিসের রায় অমান্য করে প্রতিপক্ষের রান্নাঘর, বাথরুম, টিউবওয়েল ও গোয়ালঘর সহ জায়গা জবরদখল করে কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দিয়েছে প্রতিপক্ষ মোঃ হানিফ গং। বাদী নাছির উদ্দিন কর্তৃক ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌঃ কাঃ আইনের ১৪৫ ধারায় দায়ের করা মামলা ও রোকেয়া বেগম কর্তৃক সোনাগাজী মডেল থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ এসডিআর নং- ৩২৯ এর এজাহার সূত্রে জানা যায় যে- প্রতিবেশী মুলকুত হাজী বাড়ীর প্রতিপক্ষ মোঃ হানিফ গং এর সাথে লোকমান ডাক্তার বাড়ীর আমির হোসেন গং এর বসতবাড়ির জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। প্রতিপক্ষ মোঃ হানিফ গং জোর জুলুমবাজ, সন্ত্রাসী ও পরবিত্ত লোভী শ্রেণীর লোক, তারা সমাজ ও আদালত আইনকানুন মানেনা। বারবার সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী নিয়ে আমির হোসেন গং এর উপর হামলা, অত্যাচার নির্যাতন করে থাকে। ইতিপূর্বে আমির হোসেন গং একাধিকার তাদের হামলার কারণে গ্রাম্য শালিস, থানা ও আদালতে মামলা করলেও কোন সুরাহা হয়নি। মোঃ হানিফ গং গত ২৭/০৯/২০১৯ ইং শুক্রবার, নালিশী ভূমিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে জবরদখল করে সীমানা খুঁটি লাগাইয়া কাঁটা তারের বেড়া দিতে চাইলে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। আমির হোসেন গং এর পক্ষে নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে গত ০২/১০/২০১৯ ইং ফৌঃ কাঃ ১৪৫ ধারায়; বিরোধকৃত ভূমিতে শান্তিশৃঙ্খলা ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখা ও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ফেনীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। পিটিশন মামলা নং ২৬৩/২০১৯ এর আলোকে বিজ্ঞ আদালত উভয়পক্ষকে বিরোধকৃত ভূমিতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ জানান। এমতাবস্থায় মোঃ হানিফ গং গত ০১/১০/২০২০ইং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে বিরোধকৃত ভূমিতে জোরপূর্বক কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখে, এতে আমির হোসেন গং তাদের রান্নাঘর, বাথরুম, টিউবওয়েল ও গোয়ালঘরে যেতে পারছেননা, কার্যতঃ তারা অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন। বিরোধকৃত ভূমির তফসিল : ফেনী জেলাধীন সোনাগাজী থানার অন্তর্গত চরলামছি ডুব্বা মোজার সিএস ১৯৮ নং খতিয়ানের সাবেক ৬৬৯ দাগে ৬৯ ডিং, সিএস ২১৮ নং খতিয়ানের ৬৬৮ দাগে ৫২ ডিং একুনে ১২১ ডিং ভূমিতে বিগত ২৩/০৯/১৯৪১ ইং তারিখের রেজিস্ট্রিকৃত ৩০৭০ নং কবুলিয়ত মূলে মনির উদ্দিন হইতে বাদীর উর্ধ্বতন মৌরশ লোকমান আহমদ গং বন্দোবস্ত সূত্রে মালিক দখলদার হন। বিগত দিয়ারা জরিপে নালিশী সাবেক ৬৬৮/৬৬৯ দাগ দিয়ারা ৩১৫ দাগে ৪৯ ডিং, দিয়ারা ৩২৮ দাগে ৬৬ ডিং স্বরূপে লোকমান আহমদ গং এর নামে দিয়ারা ৩৫৩ নং খতিয়ানে প্রচারিত হয়। হাল বিএস জরিপে নালিশী সিএস ৬৬৮/৬৬৯ দাগ, দিয়ারা ৩১৫/৩২৮ দাগের ১১৫ ডিং ভূমি বাবতে বিএস ৯০২ দাগ, ১১৫ ডিং স্বরূপে নুর আহমদ, সফিউল্যাহ,আহছান উল্যাহ গং, আবুল কাশেম, নজীর আহমদ গং ও খায়রুল আমিন গং তথা লোকমান আহমদ গং ওয়ারিশদের নামে বিএস ৩৭২/১৭৬/৫১/৩৪৮/৩১৩ নং খতিয়ান বিশুদ্ধভাবে প্রস্তুতক্রমে প্রচারিত হয়। সেমতে নুর আহমদের ত্যাজ্য বিত্তে ওয়ারিশ স্বরূপে নাছির উদ্দিন ও তার চাচা গং তথা লোকমান আহমদ গং ওয়ারিশগণ নিরঙ্কুশ মালিকানায় নালিশী সম্পত্তির খাজনাদি পরিশোধক্রমে নির্বিঘ্নে ভোগ দখলে রয়েছেন। ভূমির চৌহদ্দি : উত্তরে- রুহুল আমিন গং, দক্ষিণে- প্রতিপক্ষগণ, পূর্বে- সরকারি রাস্তা, পশ্চিমে রুহুল আমিন গং। গত ২৮/০৩/২০২০ ইং উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির প্রেক্ষিতে ৭টি সমাজের ১৪জন গ্রাম্য পঞ্চায়েত একত্র হয়ে উভয়পক্ষের বিরোধ নিরসনকল্পে একটি শালিসি সিদ্ধান্ত দিলেও মোঃ হানিফ গং তাহা অমান্য করে এবং মাতব্বরদের একটি ঘরে অবরুদ্ধ করে অপমান অপদস্থ করে। সর্বশেষ ০১/১০/২০২০ ইং স্থানীয় সন্ত্রাসীগণ সাথে নিয়ে জোরপূর্বক কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে ঘেরা দেয়। পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মাজহার উল্যাহ জানান- মোঃ হানিফ গং গ্রাম্য শালিস অগ্রাহ্য করে আমির হোসেন গং এর জায়গায় জোরপূর্বক কাঁটা তারের বেড়া লাগিয়েছে। অভিযুক্ত মোঃ হানিফ ও আলমগীর জানান- তারা রহিমউল্যাহ আমিনের দেওয়া নকশা অনুযায়ী কাঁটা তারের বেড়া দিয়েছে, আদালত কর্তৃক দেওয়া স্থিতাবস্থা ও গ্রাম্য শালিসে দেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়টি অস্বীকার করে এবং শালিসদার গণকে নিয়ে নানানরকম বিষেদাগার করেন। আমির হোসেন গং বিরোধ নিরসনে থানা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।