শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
বগুড়ায় পুলিশ পরিচয়ে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার ৬ বছরের বেশি সময় পর প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর সঙ্গে সব তথ্য উদঘাটন করেছে সিআইডি। গতকাল বুধবার (২ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন সিআইডি বগুড়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হাসান শামিম ইকবাল।
তিনি জানান, ২ ডিসেম্বর ভোররাতে বগুড়া সিআইডির একটি দল সিআইডি ঢাকা জেলা এবং মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঢাকা উদ্যানের প্রধান গেটের সামনে থেকে ইসমাইল হোসেনকে (৪০) গ্রেপ্তার করে। তিনি ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন থানার সাচড়া বাথানবাড়ি এলাকার মৃত বাচ্চু মীরের ছেলে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে বগুড়া জেলার শেরপুর ইসলামী ব্যাংক হাইওয়ে শাখা থেকে আব্দুল মজিদসহ তার ভাই ও শাশুড়ি নগদ এক লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা তুলে অটোরিকশাযোগে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। কিছুদুর যাওয়ার পর একই থানার মির্জাপুর নামক স্থানে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কে যেতেই পেছন দিক থেকে একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাস তাদের অটোরিকশার গতিরোধ করে। মাইক্রোবাস থেকে ৩ জন বের হয়ে নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাদীকে চড়-থাপ্পড় মেরে তার হাত থেকে টাকার ব্যাগ কেড়ে নিয়ে মাইক্রোবাস উঠে ঢাকার দিকে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে শেরপুর থানার মামলা করেন। মামলা নং ১৫ তারিখ: ১৮/৯/২০১৪। শেরপুর থানা পুলিশ ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করলেও মামলার মূল তথ্য উদঘাটন বা কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। একপর্যায়ে শেরপুর থানা পুলিশ কাউকে অভিযুক্ত না করেই আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করে।
আদালত থানা পুলিশের রিপোর্ট গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডি বগুড়াকে নির্দেশ প্রদান করে। ২০১৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সিআইডি বগুড়া মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। ইতোমধ্যে বদলিজনিত কারেণ একাধিকবার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়। বর্তমান তদন্তকারী অফিসার সিআইডি বগুড়া জেলার এসআই শামীম হায়দার গত ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে বিজ্ঞানভিত্তিক তদন্ত শুরু করেন। বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কাউছার সিকদার, সিআইডি বগুড়া জেলার দিক-নির্দেশনায় সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মামলার তদন্তকারী অফিসার ঢাকা থেকে ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করে বগুড়ায় নিয়ে আসেন।
এরপর তিনি পুলিশ পরিচয়ে টাকা ছিনতাইয়ের সাথে জড়িতদের নামসহ সকল তথ্য প্রদান করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।