শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:০৩ অপরাহ্ন
নীলফামারী ও বরগুনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৬৯ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৬ মাসের জন্য এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩ লঙ্ঘন করে ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফল কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হিসেবে বাতিল করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ আদেশ দেন। জনপ্রশাসন সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নীলফামারীর ২০ জন ও বরগুনায় একজন নিয়োগপ্রার্থীর করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম ও ব্যারিস্টার বাবুল আহমেদ।
অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩ এর ৭ ধারা অনুযায়ী সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদে ষাট শতাংশ মহিলা, বিশ শতাংশ পৌষ্য এবং বাকী বিশ শতাংশ সাধারণ প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে। কিন্তু ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফলে সেটা অনুসরণ করা হয়নি। ওই ফলাফলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়।
সারা দেশে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৮ হাজার একশ ৪৭ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করে গত ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ফল প্রকাশ করে। এরমধ্যে নীলফামারীতে ২৬৬ জন ও বরগুনায় ৪০৩ জনকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়। এই ফল বাতিল চেয়ে রিট আবেদন করা হয়।