বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৮ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
মঠবাড়িয়ায় দাফনের ৫ মাস পর ছাত্র আন্দোলনে নিহত মামুনের লাশ উত্তোলন ভান্ডারিয়ায় মালামালসহ দুই ডাকাত আটক ভান্ডারিয়ায় বৃদ্ধের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার সুন্দরবন রক্ষায় ভান্ডারিয়ায় রূপান্তরের দুই দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ উদ্বোধন শিশু বান্ধব থানা গঠনে ভান্ডারিয়ায় মতবিনিময় সভা ভান্ডারিয়ায় চোর সন্দেহে গ্রামবাসির গণপিটুনীতে এক ব্যক্তি  নিহত (ভিডিও) সঠিক ইতিহাস তুলে ধরলে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে হতো না- ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদ ভান্ডারিয়ায় বিকাশ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে টাকা ছিনতাইয়ের মূলহোতা আটক ভান্ডারিয়ায় চাঁদাবাজির বিষয়ে সতর্ক করে বিএনপির মাইকিং উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিববের পদ থেকে অপসারণ দাবীতে ভান্ডারিয়ায় সংবাদ সম্মেলন ভান্ডারিয়ায় ইমাদ পরিবহনের কাউন্টার উদ্বোধন জুলাই এর প্রেরণা দিতে হবে ঘোষণা দেওয়ার দাবীতে পিরোজপুরে লিফলেট বিতরণ কাউখালীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার দায় এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত প্রধান শিক্ষককে মামলায় জাড়ানোর হুমকি আওয়ামীলীগ নেতার, অতঃপর হত্যা মামলায় গ্রেফতার (ভিডিও) কাউখালীতে ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ভান্ডারিয়ায় শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ পিরোজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল চালক নিহত ভান্ডারিয়ায় মোটর সাইকেল চুরির পর পার্টস খুলে বিক্রির মূলহোতা আটক জামায়াত ইসলাম ‘আল্লাহর আইন’ চায় – ফখরুদ্দিন খান রাজী ভান্ডারিয়া উপজেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা
এই নারীর হাত ধরেই ভারতে তৈরি হয়েছে ব্যালিস্টিক মিসাইল

এই নারীর হাত ধরেই ভারতে তৈরি হয়েছে ব্যালিস্টিক মিসাইল

না ইনি ভারতের ‘সুপারহিরো’ নন, কিংবা কোনও সুপারস্টার। যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই করা হাজার হাজার সেনা সদস্যের কথা আমরা প্রতিনিয়ত শুনি। কিন্তু জানেন কি ভারতের ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরির গল্পের পিছনে রয়েছে এই নারী। যিনি ‘বিএমডি’ বলে পরিচিত।

তার নাম শশীকলা সিনহা। ছোট থেকেই পড়াশোনায় বেশ ভালো ছিলেন তিনি। ক্লাসের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের তুলনায় বেশ কিছুটা এগিয়েই ছিলেন তিনি। বাবা বলেছিলেন, ‘অন্যরা মুখস্থ করে, তোমাকে অঙ্কটা বুঝতে হবে।’ সেটাই করতেন শশীকলা।
চাকরি পেয়েছিলেন ‘ডিআরডিও’-তে। বছর খানেক পর সেই চাকরি ছেড়ে পড়তে যান আইআইটি খড়গপুরে। এরপর তিনি স্যোসাইটি অব মাইক্রোওয়েভ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কাজ শুরু করেন। কিন্তু সন্তান হওয়ার সময় সেই কাজ ছেড়ে দিতে হয় তাকে। ১৯৮৯ সালে জন্ম নেয় তার প্রথম কন্যাসন্তান পবিত্র।

শশীকলার বাবা ছিলেন আর্মি ইঞ্জিনিয়ার, স্বামী ছিলেন নেভিতে। কিন্তু এক দুর্ঘটনায় হারাতে হয় স্বামীকে। দুই মেয়েকে নিয়ে একা হয়ে পড়েন তিনি।

এরপর ফের যাত্রা শুরু হয় ‘ডিআরডিও’-এর সঙ্গে। কাজ শুরু করেন রিসার্চ সেন্টার ভবনে। এই ল্যাবেই মিসাইল সিস্টেম, গাইডেড ওয়েপুন নিয়ে হয় গবেষণা। যখন তিনি ব্যালিস্টিক মিসাইল নিয়ে কাজ শুরু করেন, তখন ভারত এই ধরনের মিসাইল আমদানি করতেই ব্যস্ত।

কেউ তাকে বিশেষ সহযোগিতা করেনি। অ্যাডভান্স কোডিং আর প্রোগ্রামিং করে অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে মরিয়া হয়ে ওঠেন শশীকলা। প্রবল পরিশ্রম করেন। তার পুরস্কার স্বরূপ ২০০৭ সালে তিনি ‘অগ্নি অ্যাওয়ার্ড’ পান।

এরপর ২০১২ তে ভারতের ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স প্রজেক্টের ডিরেক্টর হন তিনি। আর তিনি সেই শশীকলা, যার হাত ধরে ভারত জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বের সেইসব দেশগুলোর সঙ্গে যাদের কাছে রয়েছে নিজস্ব ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019 pirojpursomoy.com
Design By Rana
error: Content is protected !!