শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন
বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়েছে। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন করে আগামী ১০ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রবিবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম, ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন, পাপুলের ব্যক্তিগত কর্মচারী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির, জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা, জেসমিন প্রধানের মালিকানাধীন কম্পানি জেডাব্লিউ লীলাবালী ও কাজী বদরুল আলম লিটন। এ ছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরো পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার (অর্গানাইজ ক্রাইম) আলামিন বাদী হয়ে কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুল, তার শ্যালিকা, মেয়েসহ আটজনের বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা মানবপাচারকারী চক্র। তাঁরা বিভিন্ন সময় ৩৮ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা অবৈধভাবে আয় করেছেন। যার সঙ্গে পাপুল ও তাঁর মেয়ের প্রতিষ্ঠান জড়িত।
এদিকে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামকে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর ২৭ ডিসেম্বর পাপুলের স্ত্রী ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। এরপর আদালত শর্তসাপেক্ষে তাদের জামিন দেন।
এর আগে একই বছরের ১১ নভেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে পাপুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পাপুলের স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম। এ মামলাটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে।
মানব ও অর্থপাচারের অভিযোগে গতবছরের ৬ জুন কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি পাপুলকে গ্রেপ্তার করে কুয়েতের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কুয়েতের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে পাপুলের নামে জমা থাকা ১৩৮ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে। এরপর গত ২৮ জানুয়ারি অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মামলায় কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের চার বছরের কারাদণ্ড দেন কুয়েতের আদালত। একইসঙ্গে ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা করা হয়েছে।