কাউখালীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দুইটি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক এই ঘোষণার পর জমে উঠেছে  নির্বাচনী আমেজ। হঠাৎ করেই গাছে গাছে পোস্টার ব্যানারে ভরে গেছে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান। পথে-ঘাটে চায়ের দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্রই  একই আলোচনা কে কোন দলের প্রতীক পাবেন কে হবেন চেয়ারম্যান কে কার চেয়ে আগানো জন প্রিয়তা ও অর্থ-সম্পদে  সর্বত্রই হিসাব মিলাতে ব্যস্ত সাধারণ ভোটাররা। অন্যদিকে দলীয় প্রতীক পেয়ে  দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য সব দলের প্রার্থীরা ইতিমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন।

নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে  প্রথম ধাপে ১১ই এপ্রিল  ৩ নং সদর ইউনিয়ন ও ২নং  আমড়াজুড়ী ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। যে কারণে  এই সমস্ত এলাকায় পুরো এলাকা জুড়ে অলি-গলিতে একই আলোচনা চলছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও সদর ইউনিয়নের  বর্তমান চেয়ারম্যান  নৌকা প্রতীক নিয়ে দুইবারের বিজয়ী আমিনুর রশিদ মিল্টন এবারের নির্বাচনেও নৌকা প্রতীক পাওয়ার আশা নিয়ে শক্ত অবস্থানে থেকে দৌড়ঝাঁপ করে চলছেন ভোটার ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে। এছাড়াও নৌকা প্রতীক পাওয়ার আশা নিয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মিঠু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ খাঁন  এবং  মোস্তাফিজুর রহমান নামের আরেক প্রার্থী।  বিএনপি থেকে আগের নির্বাচনে যিনি প্রার্থী ছিলেন সেই বদরুদ্দাজা মিয়া ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এবারেও নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে  এবং জাতীয় পার্টি জেপি থেকে সাইকেল মার্কা নিয়ে প্রার্থী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন নুরুল আমিন।

অন্যদিকে ২নং আমড়াজুড়ী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান শামসুদ্দোহা চাঁন  বর্তমানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এছাড়া নৌকা প্রতীক পাওয়ার জন্য  দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন ইউনিয়নের মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মুন্সি, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌকির আহমেদ সীমান্ত এবং দিদারুল আলম বাচ্চু। জাতীয় পার্টি জেপি থেকে বাইসাইকেল  প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন মোঃ ফিরোজ আলম বলে জানা গেছে । বিএনপি থেকে সাবেক চেয়ারম্যান পুত্র আব্দুল আলীম ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এবারেও নির্বাচন করবে বলে জানাযায় অন্যদিক কমিউনিস্ট পার্টি নেতা সাবেক চেয়ারম্যান কৃষ্ণলালগুহ দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার জন্য ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সবকিছু মিলে প্রথম ধাপের নির্বাচনে উপজেলার দুইটি ইউনিয়নে জমজমাট ও উৎসবমুখর  পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে  বলে আশা করছেন ভোটাররা।  তফসিল ঘোষণার আগে কে কোন দলের প্রার্থী হবেন  তা’বলা মুশকিল। তবে দলগুলো প্রার্থী বাছাইয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নিলে মাশুল দিতে হতে পারে বলে ধারণা করছেন অভিজ্ঞজনেরা। প্রার্থী নির্বাচন বিজয়ের একটি অংশ বলে মনে করেন সচেতন মহল। ভোটাররা শিক্ষিত যোগ্য প্রার্থী দিকেই বেশি নজর রাখছেন এমনটাই সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়।