শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
ডিভোর্স না দিয়ে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসাইন ও তাঁর স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত অভিযোগের বিষয় তদন্ত করে আগামী ৩০ মার্চ পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। তামিমার প্রথম স্বামী মো. রাকিব হাসান মামলাটি করেন।
অন্যদিকে গতকাল বনানীতে এক সংবাদ সম্মেলন করে আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে ক্রিকেটার নাসির হোসেনকে বিয়ে করেছেন বলে জানান তামিমা সুলতানা তাম্মি।
রাকিব হাসান বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী কী করে অন্য ছেলেকে বিয়ে করে। আর ক্রিকেটার নাসির সব কিছু জেনেশুনে কিভাবে আমার স্ত্রীকে বিয়ে করল। আমি এর বিচার চাই।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাঁদের আট বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসাইনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্রপত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ জেনেছেন।
মামলার অভিযোগে আরো বলা হয়, নাসির তাম্মিকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছে। তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তাঁর শিশুকন্যা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আসামিদের এ ধরনের কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে।
মামলার আরজিতে দণ্ডবিধির ৪৯৪/৪৯৭/৪৯৮/৫০০ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে। অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের সুযোগ রয়েছে।
আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েই নাসিরকে বিয়ে করেছি : তামিমা
আগের স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স করেই নাসিরকে বিয়ে করেছেন জানিয়ে তামিমা তাম্মি বলেন, ‘আমি তালাকের জন্য আবেদন করি ২০১৬ সালে। তা অনুমোদন হয় ২০১৭-তে। সম্পূর্ণ আইনিভাবে সব কিছু মেনে ডিভোর্সটা হয়। উনার (রাকিব) পরিবার এবং তিনি এই সম্পর্কে জানতেন। উনি এখন যা করছেন তা কেন করছেন এটা হয়তো আপনাদের সবারই বোঝা হয়ে গেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি বলব, শুধু দুইটা জিনিস (আমাদের বিয়ে হয়েছিল এবং আমাদের একটা বাচ্চা আছে) ছাড়া উনি যত কথা বলেছেন, অন্য সব কথা মিথ্যা। উনি যা যা বলেছেন সেসব কথার প্রত্যেকটি প্রমাণ আমাদের আছে।’ সংবাদ সম্মেলন শেষে নাসিরের আইনজীবী তামিমার ডিভোর্স সার্টিফিকেটের কপি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।