শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র নৈশ প্রহরি আল-আমিন ডাক্তার পরিচয়ে রোগি দেখেন, দেন ব্যবস্থা পত্র, করেণ সুন্নাতে খাতনা, বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ডেলিভারি করাসহ ছোট খাট অপারেশন করাসহ ব্যবস্থা পত্র করে দেন রোগীদের। তিনি কারো কোন তোয়াক্কা করেনা। মাত্র প্রাইমারি গন্ডি পাশ করে নৈশ প্রহরির চাকুরি করেন। এখানে একযুগ ধরে চাকুরি করনে, রাজার হালে নেই কোন ডিউটি। শুধু সরকারি যে টুকু ঔষধ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন তা আল-আমিন নিয়ে যান। সে নিজে এলাকায় রোগী দেখেন। এভাবে কামিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা। তার ব্যাগে থাকেন সরাকারি গজ ব্যান্ডিল সেলাই-সুতা সিজার সিরিঞ্চ, লোকাল ঔষধ।
এব্যাপরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার সেউতিবাড়িয়া গ্রামের আঃ লতিফ শেখের দুই ছেলে, একই এলাকার কাইউম গাজির এক ছেলে জাহিদকেও আল-আমিন(ডাক্তার) সুন্নতে খাতনা করেন। জাহিদা নামের একজন প্রসূতীর চিকিৎসা করেন করেন নৈশপ্রহরি আলা-আমিন, বর্তমানে জাহিদার শারিরিক অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। জাহিদা পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে গাইনি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলামের চিকিৎসা করতে গিয়ে তার একটি আংগুল কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে, বর্তমানে সে হাতের সংক্রমন নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হন। কালাইয়া গ্রামের রমজান হাওলাদারের ছেলে সোহেল(৬) ও আরো কয়েকজনকে সুন্নতে খাতনা করেছেন এবং দিয়েছেন ঔষধের প্রিচক্রীপশন। নৈশ প্রহরি আল-আমিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের বিভিন্ন কাটা ছেড়া, সেইল করে রোগিদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। পরবর্তীতে ঐসব রোগীর শরীরে কাটা ছেড়ায় সক্রমনসহ পচন ধরেণ এবং ভুক্তভুগীরা অন্যত্র চিকিৎসা করতে বাধ্যহন। নরমাল ডেলিভারি, মহিলা রোগির ক্যাথেটার পারনোসহ চিকিৎসা করনে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে। কয়েকবার নৈশ প্রহরি আল-আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া পরেও এখনও অবৈধ কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন।
নৈশপ্রহরি আল-অমিনের খুটির জোর কোথায় তা কারো জানা নেই , মাত্র ১২ বছর নাইট গার্ডের চাকুরি করে কয়েক কোটি টাকার সম্পদের মালিক হলেন এই আল-আমিন