শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জে মেঘনার পাড়ে বিআইডবিøওটিএ’র উচ্ছেদ অভিযান চললেও থেমে নেই অবৈধ দখল। একদিকে উচ্ছেদ অভিযান অন্যদিকে চলছে প্রভাবশালীদের নতুন করে দখল। ফলে মেঘনার পাড়ে উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নদীরক্ষা আন্দোলনের সাথে জড়িতরা।
জানা যায়, আশুগঞ্জ নৌবন্দর ঘোষণার পর দীর্ঘ এক দশক পর গত ২৪ ও ২৫ জানুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআই ডবিøও টিএ)। অভিযানের এক মাস না যেতেই আশুগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকায় নতুন করে ইট আর বালি দিয়ে মেঘনা বক্ষে প্রায় ৭ শতাংশ নদীর জায়গা দখল করছে বীরমুক্তিযোদ্ধা আক্তারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যরা। নদী ভরাটকারীদের দাবী এটি তাদের পৈত্রিক সম্পতি তারা সিএস খতিয়ানের মালিকানা মূলে ভরাট করছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিøও টিএ) বলছেন এটা নদীর তীর এবং নদীর জায়গা। তারা অবৈধ ভাবে প্রভাব দেখিয়ে ভরাট করছেন। এ অবস্থায় অবৈধ বালি ভরাটের কাজ সরেজমিনে গিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডবিøওটিএ কর্তৃপক্ষ।
তবে দখলদার ও নদী ভরাটকারী বীরমুক্তিযোদ্ধা আক্তারুজ্জামানের ছেলে মো: সাইমন মিয়া বলেন, আমাদের সে জায়গাটি ভরাট করা হচ্ছে তার সম্প‚র্ণ কাগজ পত্র আমাদের কাছে আছে। দলিল পত্রের উপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের জায়গা ভরাট করছি। তবে যেহেতু এর পাশে বিআইডবিøওটিএ’র জায়গা আছে তাদেরকে জানানো আমাদের প্রয়োজন ছিল। আমরা আমাদের কাগজপত্র নিয়ে বিআই ডবিøও টিএর কাছে যাব। তবে যে জায়গাটি ভরাট করা হচ্ছে সেটি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে দাবী করেন মো: সাইমন।
দকে আশুগঞ্জ-ভৈরব নৌবন্দর পরিদর্শক জসিম উদ্দিন বলেন, নদী আইন অনুযায়ী আমরা আমাদের অভিযান পরিচালনা করেছিলাম। নৌবন্দর পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা নদীর জায়গা সার্ভে করে অভিযান পরিচালনা করেছি। এরপরেও দেখা যাচ্ছে কিছু লোক আমাদের অনুমতি ছাড়া কোনো নিয়ম কানুন না মেনেই অবৈধভাবে মেঘনা নদীর জায়গা ভরাট করছে।
একটি প্রভাবশালী মহল কর্তৃক নতুন করে নদী ভরাটের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা তাদের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। তাদের কাজগ পত্র যাচাইয়ের জন্য সুযোগ দেয়া হবে। নিষেধ অমান্য করলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদেক্ষপ গ্রহন করা হবে।
নদী ভরাট সম্পর্কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নদী নিরপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন নোঙরের সভাপতি শামীম আহমেদ জানান, যে জায়গাটি ভরাট করা হচ্ছে আমাদের দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে সেটি নদীর জায়গা। নদীর প্লাবন ভ‚মি এটি। প্লাবন ভূমি ব্যক্তি মালিকানা হলেও ভরাট করতে অনুমতি লাগে।
গত কয়েক দিন আগে অভিযানের পর আবার ভরাটের বিষয়টি প্রভাবশালীদের বিষয়ে নতুন করে ভাববার সময় এসেছে। বিষয়টি বিআইডবিøওটিএ কর্তৃপক্ষকে আরো কঠোর হতে হবে। অন্যথায় নদী দখল আর উচ্ছেদের খেলা অব্যাহত থাকবে। তিনি নদীর জায়গা নদী যেন ফিরে পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করার আহবান জানান। এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবহিত নই, খোঁজ নিয়ে দেখব।