শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ৯ নং সাপলেজা ইউনিয়নে আ‘লীগ মনোনীত প্রার্থী মিরাজ মিয়াকে অহেতুক হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। দলীয় কোন্দলের জেরে যুবলীগ নেতা আব্দুল কালাম মোল্লা সমর্থনকারীর ভোটার এলাকার নাম সঠিক নয় মর্মে আ‘লীগ মনোনীত প্রার্থী মিরাজ মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন।
জানা গেছে, যাছাই বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থীর তালিকায় মিরাজ মিয়ার নাম ওঠার পর তালিকা অগ্রগামী করা হয় জেলায়। দলীয় কোন্দলের জেরে যুবলীগ নেতা আব্দুল কালাম মোল্লা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। ভোটার তালিকায় সমর্থনকারীর ভোটার এলাকার নাম- সাপলেজা (৫ নং ওয়ার্ডের অংশ) চড়কগাছিয়া। মনোনয়ন ফরমে সমর্থনকারীর ভোটার এলাকার নাম- চড়কগাছিয়া অর্থাৎ ৫ নং ওয়ার্ড। মূলত সাপলেজা ইউনিয়নের একটি গ্রামের আংশিক দক্ষিণ সাপলেজা নাম দিয়ে চড়কগাছিয়া গ্রামের সাথে সংযুক্ত করে ভোটার এলাকা তৈরি করা হয়। এইচ, এম,গোলাম ছরোয়ার নামে ওই সমর্থনকারীর ঠিকানা জাতীয় পরিচয় পত্রে দক্ষিন সাপলেজা লেখা রয়েছে। আসলে দক্ষিণ সাপলেজা নামে ৯ নং সাপলেজা ইউনিয়নে কোন গ্রাম নেই। এটি চড়কগাছিয়া গ্রামের একটি অংশ।
গোলাম ছরোয়ার বলেন, গত নির্বাচনেও আমি উক্ত নৌকা প্রার্থীর সমর্থনকারী ছিলাম। তখনও মনোনয়ন পত্রে আমার ভোটার এলাকার নাম চড়কগাছিয়া লেখা হয়েছিল। একটি সঠিক তথ্যকে নিয়ে কে বা কারা বাড়াবাড়ি করে আমার জানা নেই।
উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি ও ৯ নং সাপলেজা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম মোল্লা নৌকা প্রর্থিীর বিরুদ্ধে আপিল করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৬ টি বিষয় নিয়ে আপিল করেছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সমর্থনকারীর ভুল ঠিকানা উল্লেখ করে তথ্য প্রদান।
আ‘লীগ মনোনীত প্রার্থী মিরাজ মিয়া অভিযোগ করেন, দলীয় কোন্দলের কারনে কোন ভুল না পেয়ে আমার সমর্থনকারীর ঠিকানা নিয়ে শুরু হয় টানা হেঁচড়া। ভাষাগত ভুলকে পুঁজি করে জেলা রিটার্নিং অফিসারকে ভুল বুঝিয়ে আপিলের নামে আটকে দেয়া হয় প্রর্থীতা। উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। এখন বিজ্ঞ আদালতই নির্ধারণ করবে সাপলেজা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শওকত হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাচন অফিসের যাচাই বাছাইয়ে মিরাজ মিয়া নামে উক্ত প্রার্থী বৈধ তালিকায় আছে। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাবর কে বা কারা আপিল করায় এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান খলিফা জানান, আপিলের বিপরীতে একটি আদেশ দেওয়া হয়েছে। প্রার্থী উচ্চ আদালত থেকে সমাধান পেতে পারে।
নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম জানান, উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রার্থীর বৈধতা নিশ্চিত করার পর প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানাতে পারব। প্রার্থী বৈধ ঘোষনা হওয়ার পর আবার কিভাবে বাতিল হয়? এটিতো আশ্চার্যের বিষয়!