শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন
জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতাঃ
‘স্ট্রোকজনিত’ কারণে সপ্তাহখানেক আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (হাসপাতাল) নিয়ে আসা হয় মো. হুরণ মিয়াকে। আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে চিকিৎসকরা তাঁকে দ্রুত জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু উপজেলা হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা যায়নি। বাইরে থেকে অ্যাম্বুল্যান্স আনার চেষ্টার ফলে ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে হাসপাতালেই প্রাণ চলে যায় হুরণ মিয়ার।
শুধু আখাউড়া পৌর এলাকার মসজিদপাড়ার হুরণ মিয়া নন, আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা সব রোগীই অ্যাম্বুল্যান্সের সেবা থেকে বঞ্চিত। কেননা হাসপাতালটিতে থাকা দুটি অ্যাম্বুল্যান্সই বিকল এবং নষ্ট। এ ছাড়া দুটি অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য নেই কোন চালক। যার ফলে এই করোনাভাইরাসকালে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় রোগীদের। ব্যাহত হচ্ছে করোনা রোগীদের নুমনা সংগ্রহের কাজসহ হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজে ও । এক মাসের বেশি সময় ধরে এ অবস্থা চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলাবাসীর ভরসা এই হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে একটি নতুন, আরেকটি পুরনো। তবে একজন চালক দিয়েই কার্যক্রম চালানো হতো। কয়েক মাস আগে ওই চালক অবসরজনিত ছুটিতে (পিআরএল) গেলেও আর চালক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আর এতেই সমস্যা দেখা দেয়। অবশ্য মাঝে মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার (টিএইচও) চালক দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স চালানো হতো। এখন দুটি অ্যাম্বুল্যান্সই নষ্ট থাকায় রোগীরা সেবা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত।
আখাউড়া উপজেলা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজলের ভাই মো. ফোরকান আহমেদ খলিফা জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে তাঁর এক ভাই অসুস্থ হলে অ্যাম্বুল্যান্স চাইলে নষ্ট বলে জানানো হয়।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. মো. রাশেদুর রহমান দুটি অ্যাম্বুল্যান্স নষ্ট থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘লকডাউনের কারণে এখন গ্যারেজও বন্ধ আছে। যে কারণে অ্যাম্বুল্যান্সগুলো ঠিক করা যাচ্ছে না।’তবে শীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান করা হবে ।