শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
পিরোজপুর শিক্ষককে হাতুড়িপেটা, বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার কাউখালীতে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনতা ও প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত ভান্ডারিয়ায় স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন নেছারাবাদে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লোহার পুল ও প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মঠবাড়িয়ায় ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল গৃহবধূর লাশ, স্বামী ও শ্বশুর আটক পিরোজপুর জেলা বিএনপির আংশিক আহবায়ক কমিটি ঘোষণা কাউখালীতে মন্ডপগুলোতে চলছে দুর্গা পূজার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পিরোজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান নেছারাবাদে ২৬ জন শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা পিরোজপুরে পিয়ার পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল ভান্ডারিয়ায় ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে নদীতে জাল ফেলছে জেলেরা! মিলছে না কাঙ্খিত ইলিশ পিরোজপুর ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এর কমিটি গঠন: সোহাগ সভাপতি, মিঠু সম্পাদক কাউখালীতে অপহরণের তিন মাস পর সপ্তম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী উদ্ধার কাউখালীতে জেলের মরদেহ উদ্ধার ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারীকে প্রাণ নাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ভাণ্ডারিয়া শাহাবুদ্দিন কামিল মাদ্রাসায় আলিম শ্রেণীর প্রথম ক্লাস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা ভাণ্ডারিয়ার চাঞ্চল্যকর আসমা হত্যার বিচার দাবিতে পিরোজপুরে মানববন্ধন কাউখালীতে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত মঠবাড়িয়ায় বাবাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেফতার
এবার তরমুজের কেজি মেপে দাম লিখে পিস হিসেবে বিক্রি

এবার তরমুজের কেজি মেপে দাম লিখে পিস হিসেবে বিক্রি

খুলনায় মধ্যস্বত্বভোগী দালাল আর বাজার সিন্ডিকেটের কারণে তরমুজ উৎপাদন করে দাম পাচ্ছেন না চাষীরা। একইভাবে ওই তরমুজ খুচরা বাজারে উচ্চদামের কারণে সাধারণ মানুষের পক্ষে কেনা সম্ভব হচ্ছে না।

ক্ষেত থেকে বাজার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করছেন একটি সিন্ডিকেট। এরাই ক্ষেত থেকে পানির দরে তরমুজ কিনে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন।

খুলনায় চলমান তাপদাহ তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে ধর্মপ্রাণ রোজাদারদের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়ছে। সামান্য প্রশান্তি পেতে সারাদিন পর ইফতারে তরমুজে গলা ভেজাতে চাইছেন সবশ্রেণির মানুষ। কিন্তু আকাশ ছোঁয়া দামের কারণে সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটাতে ব্যর্থ হচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ। তরমুজ যেন এখন উচ্চবিত্তদের ফল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে সবার মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, ‘সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছে। যদি তাদের সিন্ডিকেট ব্যবসা থামানো না যায়। তাহলে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে। তখন তাদের সামলানো দায় হয়ে দাঁড়াবে। তাই তাদের এখনই দমন করা উচিত।’

এ লক্ষে ফেসবুকে একাধিক গ্রুপও খুলেছেন ক্রেতারা। সেখানে কেজি দরে তরমুজ না কেনার ঘোষণা দিয়েছেন অনেকে।

হারুন নামের এক ক্রেতা জানান ‘কেজি হিসেবে বিক্রি হওয়া তরমুজ সাধারণ মানুষ কিনতে পারছে না দাম বেশি হওয়ার কারণে। মাঝারি বা বড় আকারের তরমুজও ক্রেতার নাগালের বাইরে। গরমের প্রবণতা যতো বাড়ছে তরমুজের চাহিদা তত বাড়ছে। সাথে সাথে দামও বাড়ছে ।’

তিনি বলেন, ‘ এক বছর হয়তো তরমুজ না খেলে কেও মারা যাবে না। সকলের উচিত তরমুজ না কিনে ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়ার। তাহলে তারা এমনিতে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করবে।

খুলনার সালাম নামের এক পাইকার তরমুজ ব্যবসায়ি বলেন, ‘আমরা শ হিসাবে কিনে আনি। শ হিসেবেই খুচরা দোকানিদের কাছে বিক্রিও করি। তারা বেশি লাভ করার জন্যই কেজি হিসেবে বিক্রি করেন। তবে এবার প্রথমতো রোজা আর দ্বিতীয়ত লকডাউন থাকার কারণে তরমুজের দাম গত বছরের চেয়ে বেড়েছে প্রায় দুই গুন।’

তিনি বলেন, ‘লকডাউনের কারণে ট্রাক ভাড়া দ্বিগুণেরও বেশি। তাছাড়া পথে এবং ফেরিঘাটে বেশি খরচ দিতে হয়। তাই মোকামে আসা পর্যন্ত দাম অনেক বেড়ে যায়।’

‘প্রচুর গরমের কারণে মানুষের কাছে তরমুজের চাহিদা বেশি। এ সুযোগে খুচরা ব্যবসায়িরা তরমুজের দাম বাড়িয়েছে’, তিনি বলেন।

খুলনার খুচরা বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে। সাধারনত ৩ কেজির নিছে তরমুজের কেজি ৩০ টাকা । ওজন ৩ কেজির বেশি হলে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

এতে ৫ কেজি ওজনের একটি তরমুজের দাম পড়ছে ২০০ টাকা। আর ১০ কেজি ওজনের তরমুজের দাম পড়ছে ৪০০ টাকা।

তবে পাইকার বাজারে বড় আকারের ১০০ পিস তরমুজ বিক্রি হয় ১২ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকায়।

বৃহস্পতিবার খুলনার কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক হাফিজুর রহমান জানান, জেলায় এবার সাড়ে ৭ হাজার ৫১২ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো। এতে কৃষক খুবই খুশি হয়। কিন্তু বর্তমানে বাজারে অতি উচ্চদামে তরমুজ বিক্রি হলেও ওই দাম মাঠের কৃষকরা পাননি।

 

 

সুত্র prabartan.com

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন










© All rights reserved © 2025 pirojpursomoy.com
Design By Rana