শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন
ভাণ্ডারিয়ায় প্রতিনিধিঃ
ভাণ্ডারিয়ায় ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ফার্মাসিস্ট পদে চাকরি নিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মো. শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শহীদুল ইসলাম বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান আকনের ছেলে। তিনি ভাণ্ডারিয়া উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই ফার্মাসিস্ট পদে যোগ দেন এবং ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সরকারি কোষাগার থেকে মোট ২০ লাখ ৫ হাজার ৮৬০ টাকা বেতন-ভাতা গ্রহণ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের জুনে কাউখালী উপজেলায় নতুন ফার্মাসিস্ট যোগদান নিয়ে সমস্যা হলে কর্তৃপক্ষ শহীদুল ইসলামের মূল নিয়োগপত্র ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র যাচাইয়ের উদ্যোগ নেয়। বারবার অনুরোধ সত্বেও তিনি মূল সনদপত্র জমা দেননি, দাবি করেন যে তা বৈদেশিক কর্মসংস্থান ব্যাংকে জমা রয়েছে। মূল সনদপত্র দাখিল না করায় কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে তার বেতন-ভাতা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখে। পরে তার দাখিলকৃত নিয়োগপত্র, ছাড়পত্র ও অন্যান্য নথি যাচাই করে দেখা যায়-পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর থেকে তাকে কোনো নিয়োগপত্র কিংবা বদলির আদেশ জারি করা হয়নি। তদন্তে প্রমাণিত হয়, তিনি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া নিয়োগ ও বদলির আদেশ তৈরি করেছিলেন। এ
ঘটনায় ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি ভাণ্ডারিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. শরণদীপ হাওলাদার সন্দীপ বাদী হয়ে ভাণ্ডারিয়া থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ১৭ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরপর থেকে শহীদুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা ফারুক আলম জানান, ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং ১৮৪ নম্বর মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
মামলার বাদী ডা. শরণদীপ হাওলাদার অভিযোগ করেন, দুই বছরের বেশি সময়েও আসামি গ্রেফতার হয়নি।
একটি সূত্রের দাবি, এই ঘটনায় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের এক সহকারীও যোগসাজশে জড়িত ছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বর্ণালী দেবনাথ জানান, এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।