শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন
জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, একটা শেষ খেলা হবে, দ্বন্দ্ব অনিবার্য। হবেই সংঘাত, এই সংঘাতে যারা টিকবে তারা থাকবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
শনিবার (৯ আগস্ট) সোয়া ১১টায় গুলশানের ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় পার্টির একাংশের কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, সরকারটা চলছে না, চলবে কি করে, সরকারতো নেই। গর্ভমেন্ট চালাচ্ছে, ননগর্ভমেন্ট লোকজন। উপদেশ দিচ্ছে কারা যারা দেশে ছিলেন না, কবে কখন পালিয়ে যাবেন ঠিক নেই। কথা বলার সময় মুখ সামলে কথা বলবেন। কে কোথায় লন্ডনে ছিল, আমেরিকা ছিল তাদেরকে এনে সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আরে হালারপো হালা বাস্তবায়ন করবে কে।
তিনি বলেন, দেশে একটি নির্বাচন হবে কি হবে না, করতে দিবে কি দিবে না, সেই দ্বিধার মধ্যে বাস করছি। আজকে মৌলিক অধিকারের কথা, বাক স্বাধীনতার কথা কেউ বলে না। দেশে দখলের রাজনীতি হচ্ছে, ব্যবসা, দখল হচ্ছে, দোকান দখল হচ্ছে। এখন যা হচ্ছে, তা কেউ বিশ্বাস করতে চাইবে না। আমরা যে রাজনীতি করছি, অনেক অপমান করা হচ্ছে, ইতিহাসে লেখা থাকবে। আঙ্গুল ভাঙবে, মাথা ভাঙবে, এই পোলাপান কি যে কয় বুঝিনা। তারা যে ভাষায় কথা বলে, আমরাও জানি সে ভাষায় কথা বলতে। ভয় দেখাতে চায়, পাকিস্তান আমল থেকেই ভয় দেখানোর রাজনীতি চলছে।
১৯৯৬ সালের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টি নিয়ামক শক্তি হিসেবে আর্বিভূত হয়েছিল। সেদিন জাতীয় পার্টি সমর্থন না দিলে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারতো না। আল্লাহর রহমত থাকলে ছোট বড় দল লাগে না। আমরা যারা উদার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশের মানুষের শান্তি ও স্বস্তি দেওয়ার জন্য ন্যায়ের পথে যারা থাকে তারা পরাজিত হতে পারে না।
কাউন্সিলের সভাপতির বক্তব্যে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ৫ আগস্টের পর আমরা সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, আজকে ভালোর দিকে গেছে নাাকি, খারাপের দিকে গেছে! আজকে কেনো প্রবৃদ্ধি নিম্নগামী। আপনারা বলছেন টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে তাহলে এডিপির হার কেনো নিম্নমুখী।কোন আশার দিক দেখছিনা, নির্বাচনের কথা বলছেন, কিন্তু নির্বাচনের পরিবেশ দেখতে পাচ্ছি না, সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন হবে তার পরিবেশ দেখতে পাচ্ছি না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, সংস্কার আপনারা করতে পারবেন না, দিক নির্দেশনা দিতে পারবেন, পরবর্তী সংসদ বাস্তবায়ন করবে। যতোদিন সংবিধান বলবৎ রয়েছে, ততদিন যাই হোকে সংসদে পাস হতে হবে। দেশের সংকট দূর করতে হলে, বিভক্তির রাজনীতি বাদ দিয়ে বিভাজনের রাজনীতি বাদ দিয়ে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তিনি বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সংস্কার শুরু করেছিলেন। হাইকোর্ট বিকেন্দ্রীকরণ করতে দেননি। যারা কমিশনে আছে তারাই সেদিন সংস্কারে বাঁধা দিয়েছে। আনুপাতিক হারে নির্বাচন, প্রাদেশিক সরকারসহ আজকে যেসব সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো ৩৫ বছর আগে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছিলেন। আজকে ৩৫ বছর পর এসে আপনারা সে কথা বুঝতে পারছেন।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর উদ্দেশে বলেন, আপনাকে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা কেমন ভালোবাসে আপনি নিজে চোখে দেখলেন। আমরা আপনাকে অতিথি হিসেবে দেখতে চাইনা। ভবিষ্যতে আমাদের নেতা হিসেবে দেখতে চাই। এটা আপনার নিজের উপর ছেড়ে দিলাম, আর্দশিক রাজনীতি করতে চাই, এতে ক্ষমতায় যেতে না পারলে আপত্তি নেই।